সৈয়দ আবুল হোসেন
সংসদ সদস্য
২২০, মাদারীপুর-৩
(কালকিনি-মাদারীপুর)
তারিখ: ২৪ এপ্রিল ২০১৩
জনাব আনোয়ার হোসেন মঞ্জু
সম্পাদক
দৈনিক ইত্তেফাক
কাওরান বাজার, ঢাকা।
শ্রদ্ধেয় মঞ্জু ভাই,
আসসালামু আলাইকুম।
একটা অভিযোগ নিয়ে আপনাকে এ লেখা। পদ্মা সেতু নির্মাণে আমাকে জড়িয়ে যে বিতর্ক-এটা নতুন নয়। এটা যে একটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, তা কেউ বুঝতে না-চাইলেও, আপনার না-বোঝার কথা নয়।
আমি বরাবরই স্পষ্ট এবং দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলে এসেছি-আমি পদ্মা সেতুর কোনো অনিয়মের সাথে জড়িত নই। পদ্মা সেতুর ব্যাপারে সকল তথ্য জানিয়ে আপনাকে এবং সকল পত্রিকা/মিডিয়ার সম্পাদকদের আমি চিঠি দিয়েছি।
কিন্তু সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক ও এসএনসি-লাভালিনের সমঝোতার ভিত্তিতে পদ্মা সেতুতে দোষ স্বীকার ও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আবার নতুন করে আপনার পত্রিকার লেখা আমাকে বিস্মিত ও হতবাক করেছে।
গত ২১ এপ্রিল একই দিনে, একই গুরুত্ব দিয়ে, একই বিষয়বস্তু ও একই আঙ্গিকে আপনার ইত্তেফাক পত্রিকা এবং ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর সংবাদ দেখে আরও আতঙ্কিত হয়েছি। আপনাদের তিন পত্রিকা একই গুরুত্বের। এ সংবাদ কি কাকতালীয় না পরিকল্পিত? না কারো অভীষ্ট লক্ষ্য সাধনে এ ধরনের খবর প্রকাশ?।
শ্রদ্ধেয় মঞ্জু ভাই, যাহোক, আপনাদের বহুল প্রচারিত ও গুরুত্বপূর্ণ এই তিন পত্রিকার খবর দেখে আমি সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুসরণপূর্বক প্রতিবাদ পাঠাই, আমার বক্তব্য সংক্ষেপে প্রতিবাদ হিসেবে প্রেরণ করি।
কিন্তু দুঃখের বিষয়, ডেইলি স্টার এবং প্রথম আলো প্রতিবাদটি ছাপে ইত্তেফাক এখনো ছাপেনি। নিয়ম ভঙ্গ করে, উদাসীনতার সাথে অবজ্ঞা বা অন্যায় স্বীকারের দুর্বলতা কাটিয়ে না উঠে, দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিবাদটি এখনো সংবাদের ঝুড়িতে রেখে দিয়েছে। আমি চাই, দেরি হলেও আমার প্রেরিত প্রতিবাদটি, আপনার রিপোর্টের গুরুত্বের সমান মর্যাদা নিয়ে প্রকাশ হোক। প্রতিবাদলিপিটি সংযুক্ত।
শ্রদ্ধেয় মঞ্জু ভাই, আপনি একজন সুশিক্ষিত, অভিজ্ঞ সম্পাদক, একজন কৃতিমান রাজনীতিবিদ। জাতির পরম শ্রদ্ধেয় তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সার্থক উত্তরাধিকারী। সর্বজনাব মানিক মিয়া ছিলেন এদেশের সাংবাদিকতার পথিকৃৎ-এ পথ ধরে বাংলাদেশের সামাজিক ও স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রাণপুরুষ।
মরহুম মানিক মিয়ার রক্তের ধারা বহন করে আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত, সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব, সবার কাছে মর্যাদাশীল ব্যক্তিত্ব হিসেবে আপনি স্বীকৃত। আমি আপনাকে বড়ভাই হিসেবে, একজন দক্ষ রাজনীবিদ হিসেবে, মঞ্জু ভাই হিসেবে শ্রদ্ধা করি। আমি জানি, আপনিও আমাকে স্নেহের দৃষ্টিতে দেখেন। আপনার প্রতি এই আমার এই নিঃশর্ত শ্রদ্ধা ও অকৃত্রিম ভালোবাসা আমৃত্যু অব্যাহত থাকবে।
শ্রদ্ধেয় মঞ্জু ভাই, আপনি জানেন, আমি আজ একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের শিকার। আমি জীবনে কোনো অন্যায় করিনি। চলার পথে কাজ করতে গিয়ে কতিপয় সরকারি কর্মকর্তার ভুলের প্রসঙ্গ টেনে কতিপয় পত্রিকা, বিশেষ করে, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান সজ্ঞানে আমার বিরুদ্ধে নানা ছলছুতায় অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বারবার এসব অসত্য সংবাদ প্রচার করে জনমনে আমার সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ধারণা গড়তে প্রপাগান্ডা চালিয়েছে।
আর এসব প্রপাগান্ডা-সম্বলিত প্রকাশনা ইংরেজি অনুবাদ করে বিশ্বব্যাংকসহ নানা জায়গায় পাঠিয়েছে বলে বিশ্বস্তসূত্রে জানতে পেরেছি। ফলে আমার সততা, আমার স্বচ্ছতা একটি নেতিবাচক বাক্সে বন্দি করার অপচেষ্টা সর্বত্র লক্ষণীয়।
শ্রদ্ধেয় মঞ্জু ভাই, আজ যখন দেখি, আপনার পত্রিকাও প্রথম আলোর মতি ভাই’র পথ অনুসরণ করে অসত্য তথ্যকে হাইলাইট করে রিপোর্ট করে-তখন সত্যিই অবাকই হই। ভাবি, মতি ভাই’র প্রেতাত্মা কি মঞ্জু ভাই’র উপর ভর করেছে?
শক্তিধর দুজনে আমাকে চেপ্টে মেরে ফেলার বাকি কাজের মিশন নিয়ে এগুচ্ছেন? আবার উত্তেজনা কমিয়ে ভাবলে মনে হয়, মঞ্জু ভাই এমন কাজ করতে পারেন না। মঞ্জু ভাই যে সত্যের প্রতীক, সমাজের অশুদ্ধতা ও অপকর্ম দূরীকরণে, মানিক মিয়ার যোগ্য উত্তরসূরি। এটা ভেবে আশ্বস্ত হই, এটা ভাবতে ভালো লাগে।
শ্রদ্ধেয় মঞ্জু ভাই, আমি সারাজীবন স্বচ্ছতা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। সৎপথে ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন করেছি। অসৎ পথে কখনো যাইনি, অসৎ পথে কোনো সম্পদ অর্জন করিনি। অথচ কতিপয় পত্রিকায়, বিশেষ করে, প্রথম আলো নানা ছুতোয় প্রতিবেদন প্রকাশ এবং তার ভিত্তিতে পদ্মা সেতু নির্মাণ কার্যক্রমে বিশ্বব্যাংকের অসত্য অভিযোগে আমি আজ ক্ষত-বিক্ষত।
এসব অভিযোগে আমি কোনোক্রমেই অভিযুক্ত নই। আশা করি, দুদকের তদন্ত নিরপেক্ষভাবে সম্পাদিত হবে। দুদকের নিরপেক্ষ তদন্তে আমি অবশ্যই নির্দোষ প্রমাণিত হব-ইনশাল্লাহ। আমি পদ্মা সেতুর কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি ও এসএনসি-লাভালিনের মিসকন্ডাক্টের সাথে সম্পৃক্ত নই।
শ্রদ্ধেয় মঞ্জু ভাই, সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক এসএনসি-লাভালিনকে ‘মিসকন্ডাক্ট’ করার দোষে দোষী সাব্যস্ত করেছে। নিষেধাজ্ঞা করেছে। আমি কোনোক্রমেই এসএনসি-লাভালিনের মিস কন্ডাক্টের সাথে সম্পৃক্ত নই।
এসএনসি-লাভালিনের যেসব কর্মকর্তা সৌজন্যভাবে আমার সাথে দেখা করেছেন, তারা বলতে পারবেন না আমি তাদের কাছে অনৈতিক দাবি করেছি। সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, যিনি তাদের সাথে আমার দেখা করিয়েছেন-তিনিও করতে পারবেন না আমি তার সাথে, তার উপস্থিতিতে অন্যের সাথে কোনো অনৈতিক দাবি করেছি এবং সেতু বিভাগের কোনো কর্মকর্তাও বলতে পারবেন না যে আমি কারো কাছে অনৈতিক দাবি করেছি।
কাজেই এসএনসি-লাভালিনের কোনো কর্মকর্তার সাথে অনৈতিক দাবির প্রশ্ন অবান্তর, অসত্য ও প্রতারণা।
শ্রদ্ধেয় মঞ্জু ভাই, কেউ যদি তার ডাইরিতে কোনোকিছু লিখে থাকেÑতা প্রমাণ করে না যে আমি তার কাছে অনৈতিক দাবি করেছি। এসএনসি-লাভালিন ঘুষ দিয়ে কাজ পাওয়ার ইচ্ছে পোষণ ও সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়ে থাকতে পারে-এর অর্থ এই নয় যে, আমি তাদের ইচ্ছেয় সাড়া দিয়েছি।
অর্থনৈতিক দাবি নিয়ে কোনো কর্মকর্তার সাথে আমার কথা হয়নি, কথা হওয়ার প্রশ্ন আসে না। আমি পদ্মা সেতু নির্মাণে কথিত কোনো অনিয়ম। ষড়যন্ত্র ও দুর্নীতির সাথে জড়িত নই। আমি শুধুমাত্র দেশের প্রচলিত কালচার ও ভদ্রতা অনুযায়ী মন্ত্রী হিসেবে উন্মুক্ত বৈঠকে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছি।
একই সৌজন্যতার দাবিতে বিভিন্ন প্রতিযোগী দেশের রাষ্ট্রদূতগণের সাথে বিভিন্ন সময় কথা বলেছি। এই সৌজন্য সাক্ষাতের সুবাদে কেউ যদি ব্লাকমেইল করে, আমার নাম ভাঙিয়ে কোনো অনৈতিক দাবি করে থাকে, সেজন্য আমাকে দায়ী এবং অভিযুক্ত করা যথাযথ কাজ হবে না। অনেক সময় পত্রিকায় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে চাঁদাবাজি খবর দেখা যায়-এর অর্থ এই নয় যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি চাঁদাবাজ।
শ্রদ্ধেয় মঞ্জু ভাই, কানাডিয়ান কোম্পানি এসএনসি-লাভালিনের ওপর বিশ^ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও এসএনসি-লাভালিনের ‘মিসকন্ডাক্ট’ বিষয়ে দোষ স্বীকারের সূত্র ধরে আপনার পত্রিকাসহ দেশের অধিকাংশ পত্রিকা অসত্য ও উদ্দেশ্যমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। পত্রিকাগুলো কাল্পনিকভাবে বিশ্বব্যাংকের পূর্বের অসত্য অভিযোগ টেনে এনে আমার নাম ব্যবহার করে লাল অক্ষরে ব্যানার করেছে।
কারো সাথে হোটেলে বৈঠক, কারো মুখোমুখি কথা বলা, ডিনার করা ইত্যাদি কল্পনাপ্রসূত বিষয় নতুনভাবে সংযুক্ত করে খবর প্রকাশ করেছে। অথচ আমি কারো সাথে এককভাবে বৈঠক করিনি, কারো সাথে কোনো হোটেলে দেখা করিনি।
কোনো ক্লাবে কারো সাথে ডিনার করিনি। উল্লেখ্য, আমি কোনো ক্লাবের মেম্বার নই। কোনো ধরনের ক্লাবে যাওয়ার অভ্যাস আমার নেই। তবুও কতিপয় পত্রিকা রিপোর্ট প্রকাশ ও সম্পাদকীয় লিখে যেন আমাকে দোষী সাব্যস্ত ও বিচার ট্রায়াল করে ফেলেছে।
এ ধরনের খবর ইতিপূর্বেও প্রকাশ করে পত্রিকাগুলো জনগণকে বিভ্রান্ত করার প্রয়াস নিয়েছে। আমাকে অনাহুত ও পরিকল্পিতভাবে পদ্মা সেতুর কথিত দুর্নীতির আশঙ্কার সাথে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও; বিবৃতি দিয়ে, চিঠি দিয়ে সত্য ঘটনা জানানো হলেও একইভাবে নেতিবাচক খবর প্রকাশ অব্যাহত রাখা নিঃসন্দেহে উদ্দেশ্যমূলক, বিভ্রান্তিমূলক এবং সাংবাদিকতার নৈতিকতাকে অমান্য করার শামিল।
শ্রদ্ধেয় মঞ্জু ভাই, আপনি যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন। আপনি জানেন, পিপিআর অনুযায়ী এবং বাস্তবে মন্ত্রী ক্রয়কারী কর্তৃপক্ষ নয়। চূড়ান্ত অনুমোদনকারীও নয়। মন্ত্রী মূল্যায়ন কমিটির কোনো সদস্যও নয়। মূল্যায়নের কর্তৃপক্ষ ও চূড়ান্ত সুপারিশকারী হলো ‘টিইসি’ কমিটি।
আর চূড়ান্ত অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। তাই কোনো প্রকল্পে মন্ত্রী কাউকে সহায়তা করতে চাইলে মন্ত্রীকে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির দ্বারস্থ হতে হবে। আমি প্রকাশ মূল্যায়ন কমিটির সদস্যদের কাছে কোন তদবির করিনি, টেলিফোন বা কথা বলিনি। কারো কাছে কোনো ই-মেইল করিনি।
প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির কোনো সদস্য বলতে পারবে না, সাক্ষী দিতে পারবে না যে, আমি কাউকে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে তদবির করেছি। কাজেই পরামর্শক নিয়োগে আমাকে জড়ানো একটি ষড়যন্ত্র, একটি অপচেষ্টা। আমি এক্ষেত্রে কোনো অনিয়মে সম্পৃক্ত নই।
শ্রদ্ধেয় মঞ্জু ভাই, অনেক সুধীজন মন্ত্রিসভা থেকে আমার পদত্যাগের আগে দম্ভোক্তি করে বলেছেন ‘আমরা কেউ ধোয়া তুলসিপাতা নই।’ আমি ধোয়া বা আধোয়া তুলসি পাতা কিনা জানি না। এতটুকু জানি, আমি জীবনে কারো অপকার করিনি।
কারো বিরুদ্ধে গিবত করিনি। কারো চরিত্র হনন করিনি। কাউকে গালাগাল করিনি। কারো বিরুদ্ধে মন্দ বলিনি। কারো বিরুদ্ধে অশোভন কথা বলিনি। কারো কোনো ক্ষতি হোক-এরকম কাজ করিনি। জীবনে অন্যায় ও অসত্যের পথে হাঁটিনি। সাম্প্রতিককালে অনেকে আমাকে কটাক্ষ করে বলেছেন, পদ্মা সেতুর অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে চাই না।
পদ্মা সেতুর অতীত ঘাঁটাঘাঁটি করলে দেখা যাবে, পদ্মা সেতু কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়িত হয়েছে। যেখানে ‘বঙ্গবন্ধু সেতুর’ প্রস্তুতি কাজ করতে ১০ বছর লেগেছে, সেখানে পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রে ২ বছরে সে কাজ শেষ করা হয়েছে। শুধুমাত্র একটি ষড়যন্ত্র পদ্মা সেতুকে ২০১৩ সালে চালু করার পথকে রুদ্ধ করেছে।
এছাড়া আমি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে বিগত তিন বছরে যে কাজ করেছি- ১০০ বছরের মধ্যে ৫ বছর মেয়াদি যে কোনো সরকারের সময় তা করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে যে প্রকল্পগুলো উদ্বোধন হচ্ছে, কার্যক্রম চলছে-তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমার প্রচেষ্টায় গৃহীত প্রকল্প।
শ্রদ্ধেয় মহোদয়, আপনি লক্ষ্য করে থাকবেন, এবার যোগাযোগমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার পর অভিযোগ তৈরির সেই স্বার্থান্বেষী মহল থেমে ছিল না। তারা বরাবরই আমার খুঁত ধরার কাজে লেগেছিল। বেনামি চিঠি অব্যাহত ছিল। কতিপয় পত্রিকা আমার বিরুদ্ধে অসত্য রিপোর্ট প্রকাশও অব্যাহত রেখেছিল।
অতীতের অসত্য রিপোর্টগুলো কতিপয় পত্রিকা নতুনভাবে প্রকাশ করে। এবারও অসত্য খবর প্রকাশ অব্যাহত ছিল। কোনো এক বিশিষ্ট সাংবাদিক আমাকে অবহিত করেছিলেন, পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে যেসব অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, বাংলা পত্রিকার সংবাদ ইংরেজি অনুবাদ করে ও ইংরেজি পত্রিকার কাটিংসহ বিশ্বব্যাংকে এবং কানাডার পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে।
শেষবধি বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা টেনে এনে মিথ্যা অভিযোগে সেতু নির্মাণে অর্থায়ন স্থগিত করে। পদ্মা সেতু নির্মাণকে বিলম্বিত করে। কোনো দুর্নীতি হয়নি, কিন্তু দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা ঋণসহায়তা বন্ধ বিশ্বব্যাংকের ইতিহাসে, পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম। আমি মনে করি, বিশ্বব্যাংকের এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া সঠিক হয়নি।
শ্রদ্ধেয় মঞ্জু ভাই, পৃথিবীর বড় আদালত মানুষের বিবেক। কাছে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন। আমি আমার বিবেকের সেই আদালতেও পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন। কখনো কোনো দুর্নীতি করিনি। স্বচ্ছতা ও সততার সাথে কাজ করেছি। কারো সমালোচনার ভয়ে নয়, নিজের বিবেকের কাছে, নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখে কাজ করেছি। সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি।
শ্রদ্ধেয় মঞ্জু ভাই, আপনাকে সত্য ঘটনা জানানো এবং আমার বিবেকের তাড়নায় এ চিঠি লেখা। আশা করি, সত্য উপলব্ধিপূর্বক পদক্ষেপ নেবেন। আপনার অব্যাহত পরামর্শ ও সহযোগিতা
কামনা করি।
গভীর শ্রদ্ধান্তে,
একান্তভাবে আপনার,
সৈয়দ আবুল হোসেন, এমপি
আরো পড়ুন
- প্রথম আলো সম্পাদকের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- প্রথম আলো সম্পাদকের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি-০২
- আমার দেশ সম্পাদকের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- ওবায়দুল কাদেরের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- প্রথম আলো সম্পাদকের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি-০৩
- অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের খোলা চিঠি
- আকিদুল ইসলামের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- বদরুদ্দীন উমরের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- প্রথম আলো সম্পাদকের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি-০৪
- বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদকের কাছে সৈয়দ আবুল হেসেনের চিঠি
- ড. ইফতেখারুজ্জামানের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- প্রথম আলো সম্পাদকের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি-০৫
- ড. কামাল হোসেনের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- কাজী সিরাজের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- মেজর জেনারেল শেখ মামুন খালেদের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
No Comments
Leave a comment Cancel