সৈয়দ আবুল হোসেন
সংসদ সদস্য
২২০, মাদারীপুর-৩
(কালকিনি-মাদারীপুর)
তারিখ: ২৭ এপ্রিল ২০১৩

বেগম তাহমিনা সিদ্দিক
সভাপতি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
কালকিনি উপজেলা শাখা
কালকিনি, মাদারীপুর।

শ্রদ্ধেয় তাহমিনা,
আসসালামু আলাইকুম।
আমার অনেক স্বপ্ন। স্বপ্ন এলাকার সার্বিক উন্নয়ন দেখা। এলাকার সহজ ও সুন্দর যাতায়াত ব্যবস্থা অবলোকন করা। এলাকার শিক্ষাপ্রসারে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব দেখা।

এলাকার জনগণ সুখ ও শান্তিতে বসবাস করবেন, সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন কাটাবেন, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবেন, এলাকার উন্নয়নে কাজ করবেন, সম্মিলিত শক্তিতে এলাকাকে আলোকময় করে তুলবেন-এই স্বপ্ন বাস্তবায়নই আমার ধ্যান-জ্ঞান ও কর্মপ্রচেষ্টা। এ প্রচেষ্টা বাস্তবায়নে আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে আমি কাজ করে চলেছি।

আমি বিশ্বাস করি, আমাদের স্বপ্নের অনেক অনুষঙ্গ বাস্তবায়ন হয়েছে। এখন এলাকায় যথেষ্ট উন্নতমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে চারিদিকে। এলাকায় রাস্তাঘাট হয়েছে। ঘুটঘটে অন্ধকারে বিদ্যুতের আলো জ¦লছে। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের অবহেলিত জনপদে নতুন থানা হয়েছে।

পুলিশ তদন্তকেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। আরো পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ও থানা প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাল্লাহ। আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন হওয়ায় জনগণ শান্তিতে বসবাস করছে। ঘরে ঘরে শিক্ষাবাতি জ্বলে ওঠায় পারিবারিক কর্মসংস্থান বেড়েছে।

পারিবারিক স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে এসেছে। জনগণের মধ্যে আনন্দের স্পন্দন লক্ষণীয়। আশা করি, অচিরেই এমন দিন আসবে, যেদিন আমাদের এলাকা ‘মডেল এলাকা’ হিসেবে সারাদেশে উচ্চারিত হবে, অনুসরিত হবে। এজন্য আমাদের আরো ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

ইতিবাচক রাজনীতির ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। আমার স্বপ্নপূরণের কাজে আপনাদের সহযোগিতা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ স্মরণীয় সহযোগিতা দানের জন্য আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাই।

আমি আশা করি, আপনি এবং আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরিরা এ ধারা অব্যাহত রেখে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অব্যাহতভাবে কাজ করবেন।

শ্রদ্ধেয় তাহমিনা, এক সময় বাঁশগাড়ি ও লক্ষ্মীপুরের অবস্থান ছিল দুটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো। আজ খোয়াজপুর হতে বাঁশগাড়ি-খাসেরহাটের মধ্যে ১৮ কিলোমিটার সড়কটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপকে একত্রিত করেছে। এ সড়ক শুধু দুটো জায়গাকে একত্রিত নয়, দুজায়গার অসংখ্য মানুষের বন্ধনকে, সামাজিক অবস্থানকে এক করেছে, এক জায়গায় দাঁড় করিয়েছে।

এ দুটো জায়গা ও তার আশেপাশে যে উন্নয়ন কাজ হয়েছে, তা দেশের কোনো এলাকায় হয়েছে বলে আমার জানা নেই। বাঁশগাড়ি ও লক্ষ্মীপুরের উন্নন এলাকার সার্বিক উন্নয়নে প্রতিফলিত হয়েছে। এ উন্নয়ন জনগণের কাছে উদাহরণ হিসেবে সমাদৃত হয়েছে।

তাই, এসব উন্নয়ন কার্যক্রমকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য আমি খোয়াজপুর-খাসেরহাট সড়কটি বাস্তবায়ন শেষ উপলক্ষে একে স্মরণীয় করে রাখতে চাই। এজন্য আমি চাই, আমরা একদিন খোয়াজপুর-খাসেরহাটের এ রাস্তাটি পায়ে হেঁটে অতিক্রম করব।

এর উদ্দেশ্য, অতীতে এই নদী-নালা বিল-অতিক্রম করে কীভাবে এলাকার জনগণ যাতায়াত ও বসবাস করত-তার স্মৃতি একটু হলেও পায়ে হেঁটে রোমন্থন করা। জনগণের কষ্টের সাথে একাত্মতা পোষণ করা। জনগণের, আমাদের পূর্বসূরিদের কষ্টের অংশীদার হওয়া।

শ্রদ্ধেয় তাহমিনা, লক্ষ্মীপুরও ছিল একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। কোনো যোগাযোগব্যবস্থা ছিল না। নৌকায় জনসভা করতে হয়েছে। আজ সেখানে পাকা রাস্তা হয়েছে। কাঁচা রাস্তা হয়েছে। পুল-কালভার্ট নির্মিত হয়েছে।

বিদ্যুতের আলোয় এলাকা আলোকিত হয়েছে। আজ সভ্যতার সকল উপকরণ সেখানে বিদ্যমান। এ কার্যক্রমে আমি সবসময় লক্ষ্মীপুরের বর্তমান চেয়ারম্যানকে আমার পাশে পেয়েছি। আমি এই লক্ষ্মীপুরেও একবার যেতে চাই।

শ্রদ্ধেয় তাহমিনা, আপনি জানেন, আমি আমার নির্বাচনী এলাকার সব উন্নয়নে কাজ করেছি। আজ প্রতিটি ইউনিয়নকে যোগাযোগ নেটওয়ার্কের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে যে সড়ক-যোগাযোগ দৃশ্যমান দেখছেন-তা আমার উদ্যোগে, আমার প্রচেষ্টায় ও পরিশ্রমে বাস্তবায়িত হয়েছে।

শিক্ষাসহ সর্বত্র উন্নয়নের যে গতি-তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায়। ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ স্ব স্ব এলাকার উন্নয়নে আমাকে সহযোগিতা দিয়েছেন।

কাজটি যাতে মানসম্পন্ন হয়, সেদিকে যত্ববান থাকার তাগিদ দিয়েছি। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে যেভাবে উন্নয়ন কাজ হয়, আমি সেই নেতিবাচক প্রক্রিয়া কখনো অনুসরণ করিনি।

ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগণ নিজ দায়িত্বে কাজ বাস্তবায়ন করেছেন। এলাকার উন্নয়নে আমি তাদের অব্যাহত সহযোগিতা ও ‘উন্নয়ন মনস্কতা’কে স্বাগত জানাই। তাদের প্রতি আমি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

শ্রদ্ধেয় তাহমিনা, আপনি জানেন, কালকিনি থানার নতুন ভবন নির্মাণের প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন আছে। খাসেরহাট তদন্তকেন্দ্রের নতুন ভবন নির্মাণে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে কার্যক্রম বাস্তবায়ন দ্রুত করা প্রয়োজন।

নতুন ভবন নির্মাণ যাতে এ সরকারের অমলেই শুরু করা যায়-সেদিকে লক্ষ্য করে কাজ করতে হবে। আপনার হয়তো মনে আছে, আমি ১৯৯৬-২০০০ মেয়াদে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন কালকিনি উপজেলা সদরকে পৌরসভায় উন্নীত করি।

বর্তমান সরকারের এ মেয়াদে আমার প্রচেষ্টায় পৌরসভার উন্নয়নে সর্বাধিক বরাদ্দ দেয়া হয়। এরপরও বিশেষ বরাদ্দ আনা হয়। আশা করি, সরকারি বরাদ্দের কাজগুলি স্বচ্ছতার সাথে, নিয়মের অনুসরণ করে বাস্তবায়িত হয়েছে। আমি আপনাকে জানাতে চাই, কালকিনি পৌরসভাকে ‘গ’ থেকে ‘খ’ শ্রেণিতে উন্নীত করা প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

শ্রদ্ধেয় তাহমিনা, আমি আগেই বলেছি, আমার নির্বাচনী এলাকার সম-উন্নয়নে আমি বিশ্বাসী। এ বিশ্বাসে নব্বই থেকে এ পর্যন্ত আমি অক্লান্তভাবে কাজ করে চলেছি। তবে অনেকে আমার নির্বাচনী এলাকার মাদারীপুর সদরের ৫টি ইউনিয়নে কম কাজ করেছি বলে অভিযোগ করেন। তাদের এ অভিযোগ সত্য নয়।

আমি এ ৫টি ইউনিয়নের উন্নয়নে কী অবদান রেখেছি, তা আপনার অজানা নয়। আমি ’৯১তে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পূর্বেই খোয়াজপুরের কলেজটি প্রতিষ্ঠা করি-এটা আমার সমগ্র নির্বাচনী এলাকার প্রথম কাজ।

প্রতিষ্ঠিত সেই কলেজটি আজ বিশ্বাবিদ্যালয় কলেজ- বাংলাদেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। এটি খোয়াজপুরবাসীর জন্য এক ইতিহাস। এ কলেজের পাস করা ৩৫০০ শিক্ষার্থী দেশের সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদে কর্মরত।

কেন্দুয়ার যে কলেজটি আমার নামে প্রতিষ্ঠিত, সে কলেজটির উন্নয়নেও অনেক কাজ হয়েছে, অনেক কাজের প্রচেষ্টা চলছে। এছাড়া, আপনার মনে আছে, আমি মোস্তফাপুর উচ্চ বিদ্যালয়কে কলেজে উন্নীত করার উদ্যোগ নিই।

কলেজ অংশের অবকাঠামো উন্নয়নে তিনতলাবিশিষ্ট বিল্ডিংও নির্মাণ করা হয় এবং বেগম ফজিলাতুন্নেসা স্কুুল ও কলেজ নামকরণের জন্য প্রস্তাব করা হয়। প্রশাসনিক জটিলতার কারণে প্রস্তাবিত এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করা যায়নি। আপনাদের সহযোগিতায় তাও বাস্তবায়ন করতে চাই।

শ্রদ্ধেয় তাহমিনা, আমার নির্বাচনী এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে আমি নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশের হার একশো’ ভাগ। অভিজ্ঞ শিক্ষকম-লী দিয়ে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

আপনি জেনে খুশি হবেন, শেখ হাসিনা একাডেমী এন্ড উইমেন্স কলেজ এবং খোয়াজপুর সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স খোলা হয়েছে। দুটো কলেজকে ইতিমধ্যে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সের অনুকূলে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এ দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই ইউনিয়ন পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। আপনার নিশ্চয় মনে আছে, আমি যখন কালকিনি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে উন্নীত করি, তখন এ কালকিনি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছিল বাংলাদেশের উপজেলা পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। আমাদের এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ইতিহাসের অংশ। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের গর্ব। আমরা দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশীদার।

শ্রদ্ধেয় তাহমিনা, বিগত তিন দশকে আমার নির্বাচনী এলাকায় অনেক রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ কালভার্ট নির্মিত হয়েছে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এর অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন হয়েছে। আইন-শ্ঙ্খৃলার প্রভূত উন্নতি হয়েছে।

এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থা সাবলীল হয়েছে। শিক্ষার হার বেড়েছে। কর্মসংস্থান বেড়েছে। জনগণের জীবনমানে প্রভূত উন্নতি হয়েছে। সামাজিক পরিবর্তন দৃশ্যমান। এসব উন্নয়ন ও সামাজিক বিবর্তন ইতিহাসে সাক্ষী হয়ে থাকবে, ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে থাকবে।

আমি, আপনি চিরদিন বেঁচে থাকব না-কিন্তু এই উন্নয়ন দীর্ঘকালের সাক্ষী হয়ে থাকবে। মানুষের উন্নয়নে, সভ্যতার বিকাশে এ উন্নয়ন নিয়ামক ভূমিকা পালন করবে, ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখবে।
শ্রদ্ধেয় তাহমিনা, আপনি জানেন, খোয়াজপুরে অবস্থিত সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত ছিল।

কিন্তু এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, মুুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর অনুচর সর্বজনশ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান সাহেবের অনুরোধে আমি সাহেবেরামপুর কবি নজরুল ইসলাম কলেজকে উন্নয়ন কার্যক্রমে (খোয়াজপুর সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজকে বাদ দিয়ে) অন্তর্ভুক্ত করি। বিষয়টি অনুমোদিত হয়েছে। এজন্য আমি খুশি।

তবে, এ কারণে খোয়াজপুরবাসীর কিছুটা অস্বস্তি আমি হৃদয়ঙ্গম করতে পারি। আমি বিশ্বাস করি, খোয়াজপুরের জনগণ বিষয়টি বাস্তবতার নিরিখে উপলব্ধি করবেন এবং বিষয়টি মেনে নেবেন। আমি সাহেবরামপুর কবি নজরুল ইসলাম কলেজের উন্নয়ন কার্যক্রমের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে অংশগ্রহণ করে আমার সম্পৃক্ততা রাখতে চাই।

অধিকন্তু, আমি খাসেরহাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে আমি উপস্থিত থাকতে চাই। এলাকার জনগণের ভালো কাজে নিজকে আরো নিবিড়ভাবে আঁকড়িয়ে রাখতে চাই।

শ্রদ্ধেয় তাহমিনা, সার্বিকভাবে ৪টি বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি:

১. খোয়াজপুর-খাসেরহাট সড়কের ১৮ কি.মি একদিন পায়ে হেঁটে অতিক্রিম করা;

২. লক্ষ্মীপুরের উন্নয়ন কার্যক্রম দেখা ও জনগণের সাথে কথা বলা;

৩. খাসেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে আমার অংশগ্রহণ;

৪. সাহেবরামপুর কবি নজরুল ইসলাম কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে আমার যোগদান;
এ ৪টি কার্যক্রমকে সমন্বয়পূর্বক তারিখ ও দিনকাল নির্ধারণ করে আমার সফরসূচি প্রণয়নে আপনার সহযোগিতা কামনা করি। আপনার অব্যাহত সাফল্য কামনা করি।

গভীর শ্রদ্ধান্তে,
একান্তভাবে আপনার,
সৈয়দ আবুল হোসেন, এমপি

আরো পড়ুন

Comments to: বেগম তাহমিনা সিদ্দিকের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    17 + 3 =

    Attach images - Only PNG, JPG, JPEG and GIF are supported.

    Login

    Welcome to Chithipotro

    You are couple of steps away from being one of our family member
    Join Us

    two × 3 =