প্রিয়তম ধ্রুব,
তুমি তো জানো আমি তোমার সম্পূর্ণই বিপরীতধর্মী চরিত্র এ সংসারে। একজন নর্থপোল তো আরেকজন সাউথপোল। এজন্যই হয়ত আমাদের মাঝখানে প্রেমের সৃষ্টি হয়েছে। কীভাবে যে প্রকৃতি আমাদের দুজনকে এক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কে জানে!
কীভাবে যে আমাদের মধ্যকার প্রেম জাগিয়ে তুলেছে তাই বা কে জানে? আর তুমিই বা কীভাবে এই ভগ্নহৃদয়ে শুভ্রফুল ফুটিয়েছো তাই বা কে বলতে পারে! এত এত প্রশ্নের ভিরে শুধু এটুকুই জানি যে আমি তোমাকে বড্ড বেশি ভালোবাসি।
আমাদের মধ্যে একজন খুব আধুনিকা তো অন্যজন অনাধুনিকতার শেষ প্রান্তে। তাতেই বা কী!আমি তো বেশ পছন্দ করি তোমার এই অনাধুনিক বৈশিষ্ট্যগুলো। যদিও কখনো কখনো রাগ হয় তবুও কোথাও হয়ত ভালোলাগার পরশ থেকে যে। আর তোমার আমিত্বমূলক কথাগুলো?
তা আমার বেশ ভালো লাগে। আচ্ছা যেদিন আমাদের দেখা হবে সেদিন অনেক অনেক কথা বলবে। আমি চুপচাপ শুনব সেসব আর মুগ্ধতার সাথে দেখব তোমার ঠোঁটজোড়া। হয়ত মাঝে মাঝে ছুঁয়েও দিব কিংবা এই ইচ্ছেটাকে নিলামে চড়িয়ে দিব।
আমি সেদিনের অপেক্ষা করছি যেদিন তুমি আর আমি হাত ধরাধরি করে হাটব। তখনই হঠাৎ করে ঝুমবৃষ্টি শুরু হবে। আমি তোমার হাত ধরে একটা ছোট্ট টং- এ আশ্রয় নিব। হুট করে রেডিওতে অনাকাঙ্ক্ষিত এক পুরোনো দিনের রোমান্টিক গান বেজে উঠবে।
আমি লজ্জায় কুকড়ে উঠব। কিন্তু তুমি সেইসময় বৃষ্টি দেখতে ব্যস্ত থাকবে। আমার খুব রাগ হবে।একসময় অতিরঞ্জিত বৃষ্টিকে আমি হিংসা করতে শুরু করব। মনে হবে ইশ আমি যদি বৃষ্টি হতাম তুমি হয়ত এমনি অপলক আমার দিকে চেয়ে থাকতে।
আমি তোমার চুলে লেগে থাকা বৃষ্টিকণা সরিয়ে দিতেই হেঁচকা টানে নিয়ে যাবে মুষলধারে বৃষ্টিতে।ভেজা অবস্থায় আর শীতে আমি চুপসে থাকব। কপট রাগ দেখাব যদিও তোমার এই কাজে মনে মনে আমি বেশ খুশিই হবো।
আর তারপর? তারপর এক কাপ গরম চা থাকবে আমার হাতে।আর তুমি? হা হা একের পর এক কাপ ফাঁকা করেই যাবে। আমি মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখব তোমার লেপটানো চুলগুলোতে বৃষ্টি কণার খেলা। আর তুমি তোমার ওষ্ঠোদ্বয় দিয়ে বারংবার চায়ের কাপটা ছুঁয়ে যাবে।
হঠাৎ ই ঘোর ভাঙবে আমার। আমি অন্যদিকে মনোনিবেশ করবো। একসময় এই হঠাৎ আসা বৃষ্টিকে মনের মন্দিরে চিরতরে আবদ্ধ করে নিব এক সুখস্মৃতি হিসেবে।
নাহ আজ আর না। বাকি কথা না হয় তোলাই থাক।
ইতি
মৃন্ময়ী ।
লিখেছেন: মৃন্ময়ী চৌধুরী
No Comments
Leave a comment Cancel