কোনো এক পরন্ত বিকেলে যখন গাছে গাছে কচি পাতায় বসন্তের আগমন জানাবে, আমি তখন বায়না নিয়ে বসবো তোমার এতো ব্যস্ততার মাঝে। খুব রাগ করবে কি যদি বায়নার সুরে আবদার করি? বসন্তের ওই আলিংগনে কোনো এক অজানা পথে হাতে হাত রেখে কিছুটা সময় পারি দিতে।
নাকি কাজের ব্যস্ততায় বলে উঠবে মাতলামি বন্ধ কর। আমি তখন অভিমানের সুরে কান্না মাখা মুখে বলব পচা তুমি। তখন তুমি আদুরে গলায় বলে উঠবে বউ ও জানপাখি কাঁদছো কেন? আমি তো মজা করলাম। বলে শক্ত করে জড়িয়ে ধরবে তো?
কপালে ঠোঁটের পরশ ছুঁইয়ে দিয়ে বলবে তো ভালোবাসি? আমি তখন হাঁসি মুখে বলবো ভালোবাসি প্রিয়। তারপর নতুন রঙে সাজবো তোমারি মনের সাজে। নীল শাড়ি, চোখে কাজল লেপ্টে দৌড়ে এসে বলবো আমায় কেমন লাগছে বর বল না! তখন তুমি বলবে কি বউ বউ লাগছে।
না কি দুষ্টুমির সুরে বলবে পাগলি লাগছে আমি তখন অভিমানের সুরে তোমার পায়ে হিল দিয়ে জোরে পারা দিয়ে গাড়িতে উঠবো! এটা ভেবে আমার খুব হাসি পাচ্ছে তখন তোমার ফেস টা দেখার মতো। তারপর অজানা এক জায়গায় দুজনের পথ চলবো। জায়গাটি কোলাহল বিহীন জনশূন্য একটি অপরুপ স্থান হবে ।
সেখানে থাকবে ছোট এক নদী আর এক ছোট কুরেঘর। আমি অভিমানী সুরে বলব তুমি ভিতরে থাকো। আমি বাইরেই ভালো আছি, পাগলির সাথে থাকতে হবে না তোমায়। তখন কি রেগে ভিতরে চলে যাবে আমায় ফেলে?
নাকি করা শাসন করে ভালোবাসার পরশে কোলে তুলে নিবে? যখন আমি কোল থেকে নামায় ব্যসত মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। অপূর্ব এক মুহুর্ত সব রাগ অভিমান ভুলে নতুন এক পথ চলা শুরু হল সুন্দর এক মুহুর্তকে ঘিরে ।
ইতি তোমার পাগলী
লিখেছেন: রোদেলা রোদু
No Comments
Leave a comment Cancel