অপেক্ষা,
কেমন আছিস? মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে হয় আলহামদুলিল্লাহ বেচে আছি বলা মানুষটার কাছে একরাশ কালো মেঘ জমানো স্বর নিয়ে বলি, আমি ভালো নেই। হৃদয়ে স্নিগ্ধতার মায়াঞ্জন নিয়ে গোধূলি লগ্নে তোকে লিখতে বসেছি।
জানি! প্রিয় না লেখে অপেক্ষা লেখায় একটু বিস্মিত হয়ে আছিস, তোকে তো বলেছি, আমি ৫বছর ধরে তোর জন্য রঙধনুর রঙ ছেড়ে তোর প্রিয় সাদা গোলাপের বাগান করেছি।
সুন্দর সেই বাগানে রঙহীন গোলাপের সুভাষ আকাশের ঝড়ো হাওয়াতে ভাসিয়ে দিয়েছি। নিকোটিনের ধোঁয়ায় মিশে থাকা তোর শরীর জুড়ে বয়ে বেড়ানো সেই নিশ্বাসটাকে রোজ উপলব্ধি করার অপেক্ষায় আছি!
তোর আবেগ জড়ানো সেই স্বরের মাঝে হাসির শব্দগুলো বারবার আমার কবিতার খাতায় গাথার অপেক্ষায় আছি! তোর সেই নেশাতুর চাহনি তে চোখ পড়া মাত্রই লজ্জাজড়ানো ছন্দে আমার চোখ নামিয়ে ফেলার অপেক্ষায় আছি!
হ্যালুসিনেশনে আসা ঢেউয়ের মতো মানুষটাকে ডায়েরির ভাজের শুকনো গোলাপের মতো যত্নে রেখে দিয়ে রোজ একবার করে ছুয়ে দেখার অপেক্ষায় আছি! তাইতো সেই কাজল মাখা চোখ তোর ফিরে আসার পথে রোজ বৃষ্টিতে ভিজে।
চলে কেন গেলি? আমি তো বন্ধুত্বে ভালোবাসা চাইনি চেয়েছিলাম ভালোবাসা কাগজের খামে বন্দী করে বন্ধুত্বটাকে আকড়ে ধরেই লিখে যাবো তোর আর আমার কাছে আসার গল্প।
তবুও ভালোবাসার গল্পে ছায়া হয়ে থেকে যাওয়া গন্ধরাজ ফুলের ডালটা শুকিয়ে আমার প্রতি তোর যেটুকু সুগন্ধি পাপড়ি ছিলো তাও বিস্বাদে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যতবারই যাই ছুটে তোর রোদ পোড়ানো বিরক্তিতে অবহেলার মেঘেরা পুড়ে ছাড়খার, একটু একটু করে দূরত্বের জ্যোছনা আমাকে বহুদূর ভাসিয়ে নিয়ে গেলো।
আচ্ছা এই যে এত বৃষ্টি হয় আকাশ চিড়ে বজ্রপাতের শব্দে আমার বুক ফেটে যাওয়া শান্ত চিৎকার কি তুই শুনতে পাস না?ফিরে আয়, ক্ষতি কি? ভালোবাসা তো কম পাবি না!
তোকে লেখা কতো চিঠি ধূলোজমা খামে জমছে!একটাই আশা, যেদিন শরৎ এর নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে আমার নীল শাড়ির আঁচলে তুই ধরা দিবি সেদিন সব ভালোবাসি তোর পড়া হবে! হবে তো? নাকি সেদিনও অকস্মাৎ ঝড়ে হারিয়ে যাবি বহুদূরে?
আমাকে এড়িয়ে এড়িয়ে একটু একটু বৃষ্টি হয়ে তোকে থেকে যেতে হবে না, ঘূর্ণিঝড়ের ঢেউয়ে সেদিন তোকে ভাসিয়ে দিবো। কিন্তু জানিস তোর স্মৃতির আগুনে রোজ পুড়ি আর ভাবি এই সেই বেলীফুলের গন্ধ বুঝি আমাকে তোর ভালোবাসায় আজও আঁকড়ে ধরে রেখেছে। তাই তোকে আমি আবারও বলতে চাই,
“ভালোবাসা, খুব ভালোবাসি তোকে!”
ইতি
তোর আজাইরা বান্ধুবী!
লিখেছেন: Eusha Rahman
No Comments
Leave a comment Cancel