কল্যাণীয়াসু, একটু আগেই আমাদের ব্যাচের গ্রুপে মিতুর পোস্ট পেয়ে জানতে পেরেছি আজ তোমার জন্মজয়ন্তী। আমাদের সবার জীবনে এই দিনটি বিশেষ একটি দিন। পৃথিবীর সবচেয়ে দুঃখী মানুষ গুলোও হয়তো এই দিনে একটু ভালো থাকার চেষ্টা করে।
দুই যুগ আগে এমনই এক ভাদ্রে, এমনই এক রৌদ্রস্নাত দিনে সেদিন হয়তো প্লাবন নেমে ছিল। তা হয়তো তুমি স্মরণ করতে পারবে না। ভাদ্রের সেই রবিকরকে আমার সহস্র নমস্কার। আমার জীবনে তুমি এক বিশেষ মানুষ। কি রকম তা বর্ননা অতীত।
কবিতা যারা ভালবাসে, আমিও তাদের কবিতার মতোই ভালবাসি। তোমাকে অনেক শুনেছি, কত সুন্দর ভাবে মনের মাধুর্য মিশিয়ে তুমি আবৃত্তি করো। বিশ্বাস করো আমার প্রিয়, যখন প্রথম তোমার আবৃত্তি শুনি তখনই আমি তোমার প্রেমে অঞ্জলি বেধেছি।
আমি জানি না তুমি সেই অঞ্জলি গ্রহণ করবে কি না। গ্রহণ না করলেও আমার কোন দুঃখ নেই। আমি নারী কেয়াকে ভালবাসিনি, আমি শিল্পী কেয়াকে ভালবেসেছি। যার কণ্ঠে পাহাড়ি ঝর্ণার মতো শব্দ ঝরে। সিন্ধুকুশ পর্বতের চূড়ায় ভোরের একফোঁটা উষ্ণ শিশিরের মতো।
কেবল ভাবছি আর ভাবছি, কিভাবে তোমাকে শুভেচ্ছা জানাব। তুমি শুনলে হয়তো হাসবে। কি অদ্ভুত অদ্ভুত চিন্তা ভাবনা করছি। এটাও ভাবছি জন্মদিনে তোমাকে কি উপহার দেওয়া যায়। আগে কখনো কোন নারীকে জন্মদিনের উপহার দেই নি।
তাই একটু খটকা লাগছে। আজ কিছু একটা উপহার সংগ্রহ করবো তোমার জন্য। কিন্তু আমি সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারছি না৷ দেখা যাক কি হয়।
আমার এরকম অদ্ভুত লেখায় তুমি কেমন বোধ করছো জানি না। শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে যতসব আজগুবি লিখছি। তবে হ্যাঁ! আমি যা লিখছি সব আমার অন্তর দিয়ে লিখছি।
জীবন ক্ষুদ্র, অনন্তের পথে এগিয়ে যাচ্ছি ক্রমশ। তারপরও আজকের দিনটি সবার কাছেই বিশেষ একটি দিন। বিশেষ দিনে বিশেষ কিছু দেবার সামর্থ্য আমার নেই। আমি দরিদ্র কবি। যা দিতে পারবো তা হলো কবিতার কথা।
কবিতা আর দেবতা সুন্দরের প্রকাশ। দেবতারা স্রষ্টার সৃষ্টির সৌন্দর্যকে প্রকাশ করে। আর তোমার কণ্ঠে কবিতাও তেমন সুন্দরের আভাস আমি পেয়েছি আমার চোখের জলে, আমার বুকের রক্তে।
আমার বাসার সামনেই একটা বিশাল কৃষ্ণচূড়া গাছ আছে। অনেক ফুল ফুটেছে দেখা যাচ্ছে। সবুজ পাতা আর লাল ফুলে অদ্ভুত সুন্দর লাগছে।
আগে কখনো এমন হয়নি। মনে হয় তোমার জন্মদিনে ওরা আনন্দ উল্লাস করার জন্য ফুটেছে। সেই কৃষ্ণচূড়ার রঙের মতো রঙিন হোক তোমার অনাগত ভবিষ্যৎ।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা নিও।
চোখের জল আর মোবাইলের চার্জ দুটুই ফুরিয়ে গেছে। অন্য আরেকদিন বিস্তারিত লিখবো। সেই অবধি ভালো থেক…!
ইতি,
নিত্য শুভার্থী রাসেল আহমেদ।
পুনশ্চঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমা করো।
লিখেছেন: রাসেল আহমেদ
No Comments
Leave a comment Cancel