সৈয়দ আবুল হোসেন, এমপি
মন্ত্রী
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
তারিখ: ১৫ মে ২০১১
সম্পাদক
দৈনিক আমার দেশ
কাওরান বাজার
ঢাকা।
শ্রদ্ধেয় সম্পাদক,
অদ্য ১৫ মে ২০১১ তারিখে আপনার বহুল প্রচারিত ‘দৈনিক আমার দেশ’ পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ‘সরকারের সঙ্গে ব্যবসা : বিদ্যুৎ এক মন্ত্রীর, রাস্তা সেতু অন্যজনের’ শীর্ষক সংবাদের প্রতি আমার দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে (পেপার ক্লিপিং সংযুক্ত)।
প্রতিবেদনে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও আমার সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অসত্য, ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং ব্যক্তিগত চরিত্রহননের নামান্তর। এতে সত্যের বিন্দুমাত্র লেশ নেই। এসব অসত্য, উদ্দেশ্যমূলক ও প্রভাবিত সংবাদ দেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে।
শ্রদ্ধেয় সম্পাদক, যোগাযোগ মন্ত্রণালয় দেশের যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে। দেশের সেতু, জাতীয় সড়ক ও রেলের অবকাঠামো উন্নয়ন ও পরিচালনা। এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আমি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর অনেক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
আপনার পত্রিকার বিষয়ভুক্ত রিপোর্টেও সড়ক, সেতু ও এক্সপ্রেসওয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় উন্নয়ন কাজ গ্রহণ করবে এবং তা বাস্তবায়ন করবে- এটাই স্বাভাবিক। আমি যোগাযোগমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার পর দেশের প্রয়োজনের নিরিখে প্রকল্প গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে চলেছি। এর সুফল জনগণ ভোগ করছে, ভবিষ্যতেও ভোগ করবে।
শ্রদ্ধেয় সম্পাদক, এসব প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি সিদ্ধান্ত এবং মন্ত্রী হিসেবে আমার সুপারিশে সর্বত্র সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় সকল বিধিবিধান কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। এবং কোথাও অন্যায়ের সাথে আপোষ করা হয় না।
এখানে উল্লেখ্য, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সকল ক্রয়-প্রক্রিয়ার ডকুমেন্ট টিআইবি-তে প্রেরণ করা হয়। চাইলে আপনাকে দেওয়া যেতে পারে।
শ্রদ্ধেয় সম্পাদক, বিষয়ভুক্ত রিপোর্টে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও আমার ব্যক্তিগত যোগসূত্র টেনে যা বলা হয়েছে তা অতিকথন, প্রভাবিত ও যুক্তিহীন কথা। প্রতিবেদনে যে সড়ক, সেতু ও একপ্রেসওয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার টেন্ডারসহ ক্রয়-প্রক্রিয়ার সকল পর্যায়ে আপনি একটি তদন্ত করুন।
দেখুন, কীভাবে সকল পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়েছে। এভাবে অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশ অনৈতিক, ভদ্রতা-বিবর্জিত ও অন্যায়।
শ্রদ্ধেয় সম্পাদক, আপনি ব্যক্তিগত জীবনে নিজেকে আদর্শবান দাবি করেন। আমরাও আপনাকে আদর্শবান ও সৎ এবং মিথ্যার প্রতি সোচ্চার দেখতে চাই। আপনার পত্রিকায় কিছু সাংবাদিক আছে যারা অসত্য খবর প্রকাশ করে।
খবর প্রকাশের আগে এতটুকু ভাবেন না এর প্রভাব একজন ব্যক্তির ওপর কীভাবে পড়বে। একজন ব্যক্তি কীভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়। আমরা দেশের জন্য কাজ করি। অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করি। সরকারি নিয়ম-কানুন কঠোর অনুসরণের মাধ্যমে কাজ করি। ব্যক্তিস্বার্থ এখানে মুখ্য নয়।
অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খবর কাজের গতিকে কমিয়ে দেয়, নিরুৎসাহিত করে। অবশ্য বিশিষ্ট সম্পাদক নাঈমুল ইসলামের ভাষায়- ‘অসত্য খবরের আয়ু খুবই কম’। তাই আমি মনে করি, আপনার পত্রিকায় প্রকাশিত অসত্য, বানোয়াট, মনের মাধুরী মিশানো খবর স্থায়ী হবে না।
শ্রদ্ধেয় সম্পাদক, আপনার পত্রিকায় সর্বশ্রদ্ধেয় আতাউস সামাদ-এর মতো ব্যক্তিত্ব জড়িত। তিনি আমাদের সবার শ্রদ্ধাভাজন, গুণী ও সম্মানীয়। তিনি সাংবাদিকতার জগতে পথিকৃৎ। তাঁর থেকে সাংবাদিকসহ আমাদের সকলের শিক্ষণীয় রয়েছে।
আমার প্রতিবাদটি, বা কথাগুলো আপনার রিপোর্টের ন্যায় সমগুরুত্ব দিয়ে প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
গভীর শ্রদ্ধান্তে,
একান্তভাবে আপনার,
সৈয়দ আবুল হোসেন, এমপি
মন্ত্রী
No Comments
Leave a comment Cancel