২৩ অক্টোবর ১৯০৫
বন্ধু
তোমাকে একটা বিষয় পরিষ্কার করিয়া বুঝাইয়া দিতে হইবে। সর্বপ্রথম আমাদের বঙ্গভবন* প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক। একটি মূর্তিমান এবং বর্ধমান জিনিষ আমাদের উৎসাহের প্রধান সহায় হইবে।
তারপর এই স্থানে কেন্দ্র করিয়া যত বড় কাজ আরম্ভ হইবে। এই স্থানে ৫০০০ লোকের বসিবার হল যেন নির্মিত হয়। সেখানে প্রতি পক্ষে নিয়মিতরূপ ছাত্রদের জন্য বক্তৃতা, কথকতা প্রভৃতি হইবে।
তারপর আমাদের সেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তৃতা এখানে নিয়মিতরূপ দেওয়া হইবে। এ বিষয়টি অতি গুরুতর, কারণ বিশ্ববিদ্যালয় হইতে ছাত্রদিগকে বহিষ্কার জন্য বিবিধ সাংঘাতিক চেষ্টা হইতেছে ইহার প্রতিবিধান একান্ত আবশ্যক।
তারপর জাতীয় ভবনে তোমার সমাজের অধিবেশন হইবে, নানা বিভাগে শিল্প বাণিজ্য ইত্যাদির জায়গা থাকিবে।
চাঁদা তুলিয়া কাপড়ের কল ইত্যাদি করিবার চেষ্টা ভুল। এই কেন্দ্র হইতে নানা বিষয়ের অনুসন্ধান, সংবাদ ইত্যাদির দরকার।
এখানে রামমোহন রায়, বঙ্কিম, ঈশ্বর বিদ্যাসাগর, ইত্যাদির স্মৃতিচিহ্ন থাকিবে, ইত্যাদি। তুমি এ বিষয়ে অতি সুন্দর প্রবন্ধ প্রস্তুত করিবে। ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার দিন নানা স্থানে পঠিত হইবে।
এ সময় বিজ্জজনেরা বিবিধ জ্ঞানগর্ভ উপদেশ দিবেন এবং ঘুমাইবার পরামর্শ দিবেন। এখনই জাগ্রত থাকিবার সময়। তোমাকে চোকিদারী করিতে হইবে।
তোমার
বন্ধু
***বঙ্গভবন: ফেডারেশন হল বা অখণ্ড বঙ্গভবন। ১৯০৫ সনের ১৬ অক্টোবর এই অখণ্ড বঙ্গভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন আনন্দমোহন বসু।
আরো পড়ুন
- ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথি হবার আমন্ত্রণপত্র
- ওয়াজ মাহফিল আয়োজনের অনুমতি চেয়ে আবেদন
- ওয়াজ মাহফিলে প্রধান বক্তা হবার আমন্ত্রণপত্র
- মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য আবেদন লেখার নিয়ম
- বদলীর জন্য আবেদন
- বিনা বেতনে অধ্যয়নের জন্য আবেদনের নমুনা ফরম
- মিউচুয়াল ট্রান্সফারের জন্য আবেদন
- চাকুরিরত অবস্থায় অধ্যয়নের অনুমতির জন্য আবেদন।
- হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা পদে নিয়োগের জন্য আবেদন।
- এনজিও তে চাকরির দরখাস্ত
- সহকারী শিক্ষক পদে চাকরির আবেদন
- পদোন্নতির জন্য আবেদন পত্র
- বিয়ের ছুটির আবেদন
- অফিশিয়াল ছুটির আবেদন (অনুপস্থিতির জন্য)
- পাওনা টাকা আদায়ের জন্য চিঠি
No Comments
Leave a comment Cancel