কেমন আছ?
আচ্ছা তুমি সেই যে আমাকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে চলে গেলে, তখন প্রায় সন্ধ্যা সাতটা, ভাবতে পারো মা, আব্বার কাছে আমার কী অবস্থা? বুড়িগঙ্গায় নৌকাতে যে আমাদের পুলিশ ধরল, সে কথাটা কীভাবে মাকে বলি বলতো? গানের রিহার্সেল করে আর কত মিথ্যা কথা বলা যায়? তারপরও তুমি ভুল করে তোমার মাফলারটা ফেলে আমার মাফলারটা নিয়ে রাজশাহী চলে গেলে, ওটা আমি কোথায় লুকাবো? রিহার্সেলে খুরশিদ ভাই (খুরশিদ আলম) ছিলেন তার সাথে চেঞ্জ হয়েছে, এ কথা বলে কাটালাম কিন্তু প্রতি মুহূর্তে টেনশন হচ্ছে এই বুঝি কোনো কারণে খুরশিদ ভাই বাড়িতে চলে আসেন তা হলে তো ছয় তারিখের যে কোনো রিহার্সেলই ছিল না এটা জেনে যাবে। যা হোক তোমার কী অবস্থা? খালাম্মার শরীর এখন কেমন? উনি কি আমার কথা কিছু শুনেছেন? হেনা কেমন আছে? ভালো লাগছে না জানো। এই যে সময় তুমি পাঁচ-ছয় দিনের জন্য দেশে যাও, আমার ভাল্লাগেনা। এই কয়দিন আমার জীবনে কোনো আনন্দ থাকে না। ভাবছিলাম মেজো বুবুর বাসায় গিয়ে তোমাকে একটা ফোনও করব কিন্তু চাচি আম্মা পছন্দ করেন না ওখান থেকে ফোন করি। কারণ উনি বুঝে ফেলেছেন এ ফোনটা গোপন। খুবই স্বাভাবিক উনি পছন্দ করেন না ফোন করা। এই জানো? বুবু না সব বুঝে ফেলেছে। আমাকে একেবারে সোজাসুজি জিজ্ঞাসা করল, ‘শিখা, তোমার সঙ্গে কথা আছে।’ আমি বললাম, বলো। আমিও বুঝতে পারছিলাম ও কি বলবে। বলল, ‘তুমি কি রফিককে বিয়ে করবে?’ আমিও ওর দিকে তাকিয়ে খুব স্বাভাবিকভাবে বললাম, হ্যাঁ, আমি সে রকমই ভাবছি। ও একটা উপদেশমূলক বক্তব্য দিয়ে আলোচনা শেষ করল। বলল, ‘তো ঘুরাঘুরি না করে মাকে বলো, ঘুরাঘুরি করলে বদনাম হয়।’ আমি বললাম, আচ্ছা, সাথে সাথে আমার মনে হলো তুমি কবে আসবে আর আমরা শ্যানে রেস্টুরেন্টে খেতে যাব, তোমার সঙ্গে যে আমার চব্বিশ ঘণ্টাই ঘুরতে ইচ্ছা করে।
ভাল্লাগে না।
খুব তাড়াতাড়ি আস।
আমি।
No Comments
Leave a comment Cancel