প্রিয় বান্ধবীরা,
ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও জেনে নিতে হবে, কেমন আসছ তোরা? কারণ তোদের সবার বর্তমান চলছে স্বামী সংসার নিয়ে। ত্যাড়া বাঁকা অভ্যাস তোদের। কেমনে যে ভাইয়েরা সামাল দিতেছে আল্লাহ তায়ালা ভালো জানেন।
যাই হোক, আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালোই কাটছে দিন কাল। অনেক দিন ধরে ভাবছি তোদের লিখতে, সময় নিয়ে সেরে উঠতে পারিনি। বর্তমান সময়টা এমন ব্যস্ত যে, আমরা সবাই সময়ের দূরত্বে আছি শুধুমাত্র।
বিশ্বাস কর তোদের দূরত্বটা এখনই মেনে নিতে পারছি না। একবার ভাব তো, আরও দূরে যখন যাবি তোরা কিভাবে মানবো? আমার এখনো মনে পরে সেই প্রথম পরিচয়গুলোর কথা। সেলিনা তোর মনে আছে? আমায় করা তোর প্রথম প্রশ্নটা?
“তোমার বাসা কি কাজীপাড়া? আমার বাসাও তো কাজীপাড়া।” আর হিমু বললি, “আমার তো সমাজবিজ্ঞান নাই। ক্লাসে থেকে কি করব!”
সাইমার সাথে যে কিভাবে নিজের অজান্তেই পরিচয় হয়ে গেলাম, আজও খুঁজে পাইনি। আর খুঁজতে চাইও না। পরিচয় যেভাবেই হোক, বন্ধুত্ব সবার আগে। বিদ্যাকুটবাসীদের কে স্বরণ করছি, আহারে, ওরা সবাই একটা বেঞ্চে বসে ছিল। আর কি সুন্দর করে কথা বলেই যাচ্ছে…।
সেতু, রিমা, তাসলিমা, সালমা… বেশ ভালো সময় ছিল ওগুলো, যখন নতুন নতুন বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি, পরিচয় হয়েছি। একটা সময় পরে গ্রুপ হয়েছে নিজেদের। ভাবতেই ভালো লাগা কাজ করে।
এক সাথে ক্লাস করা, এক সাথে আড্ডা দেওয়া, কেফে আড্ডায় বসে চিপস খাওয়া, চেয়ারে বসে ফুচকা না খেয়ে মাঠের কোণে বসে খাওয়া, ভাড়া বাঁচাতে নয়, পিক তুলতে এক রিকশা ভাড়া করে কোথাও যাওয়া, প্রাইভেট শেষে ওভার ব্রিজ দিয়ে হাঁটা….।
খুব মনে পরে সেই সময় গুলো। সত্যিই খুব মিস করি রে। আচ্ছা বলতো তোদেরও কি সেই সময় গুলো মনে যেমন করে আমার মনে পরে। তোদেরও কি ইচ্ছে করে সেই সময় গুলো ফিরে পাওয়ার? আমার যেমন ইচ্ছে করে।
কবে যে আবার একসাথে হবো! হতে পারবো তো? কত আশা, কতো আকাঙ্খা।
আজ আর লিখছি নারে। ইচ্ছে হলে আমায় লিখিস কোনো এক শুভ্র সময়ে ডায়েরির কোণে কিংবা চিঠিপত্র ডটকম-এ।
ইতি
তোদের শুভাকাঙ্ক্ষী
নুসরাত জাহান মিষ্টি
১১/১১/২১
লিখেছেন: নুসরাত জাহান মিষ্টি
No Comments
Leave a comment Cancel