প্রিয়তম,
জীবনকে তলানি পর্যন্ত পান করার ধৃষ্টতা আমার নেই, কিন্তু কাপের তলানিতে পড়ে থাকা চা-পাতা সমেত সম্পূর্ণ কাপ উজাড় করে চা-খাওয়ার নেশা আমার আছে। প্রায়ই হাটে-বাজারে, ফুটপাতে, রেলস্টেশনে চা খাওয়ার নেশা জাগে আমার। ঐ নেশা কেবল নেশাই, বেশি কিছু নয়।
কিন্তু বিশেষ এক কাপ চা খাবো ভাবতে গেলেই আমি সত্যিকারের নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। নেশার ঘোরেই আমি ঐ এক কাপ চায়ের জন্য অপেক্ষা করি। আর চা আসার পর তা হাতে নেয়ার সময় নেশার সাথে যুক্ত হয় মাতাল উন্মাদনা!
তক্কে তক্কে থাকি— আমার নেশাগ্রস্ত আঙুলের সাথে কারো নিরীহ আঙুলের স্পর্শ লেগে যায় যদি! আসলে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আমি বুঝতেই পারি না— এ কিসের নেশা— চায়ের না চামেলির?”মাঝে মাঝে চায়ের চুমুকেও মাদকতা থাকে।
উপলব্ধি টা এমন ও হয় যে! চুমুকে চুমুকে কখন যেন কল্পনার ছায়া গুলো মনের মাঝে মিশে যায়! সে নেশা চায়ের নয়! প্রিয়জনের নেশা।
প্রিয়তম, তোমাকে নেশাগ্রস্ত হতে হবে। সেটা হলো আমার নেশা, তোমার প্রিয়তমার নেশা।
রোজ আমার চোখের গভীর সমুদ্রে ডুবতে হবে। রক্তজবার মতো টসটসে লাল ঠোঁটের নেশায় ডুবতে হবে। কপালে কালো টিপের নেশায় ডুবতে হবে।
ফুলের সুবাশ মিশ্রিত চুলের ঘ্রাণে মত্ত্ব হতে হবে। তবেই না তুমি হবে আদর্শ প্রেমিক পুরুষ। তাইনা? ভালো থেকো প্রিয়তম।
ইতি
প্রিয়তমা
লেখা: অনন্যা অর্ণা
No Comments
Leave a comment Cancel