আমরা সবাই জানি দেশের বাইরে যেতে হলে পাসপোর্ট করতে হবে। কিন্তু পাসপোর্ট করার নিয়ম না জানলে পাসপোর্ট করাটা বেশ ঝামেলার বিষয়। অনেক সময় দালালের ফাদে পরে দ্বীগুণ টাকায় পাসপোর্ট করতে হয়।

এখন সময়ে বদলিয়েছে। প্রযুক্তির উন্নতির ফলে এখন আর আগের মতো ঝামেলায় পরতে হয় না। এখন অনলাইনের মাধ্যমেই ঘরে বসে পাসপোর্ট তৈরির প্রাথমিক সব কাজ করে ফেলা যায়। সময় বাচে, টাকা বাচে, দালালের খরচ বাচে।

আর নিজের পাসপোর্টের তথ্য নিজে পুরোন করার জন্য ভুল হওয়ারও তেমন সুযোগ থাকে না। চলুন তাহলে শিখে নেই পাসপোর্ট করার নিয়ম । আজ আপনাদের A-Z সহযোগীতা করার চেষ্টা করবো।

অনলাইনে পাসপোর্ট করার নিয়ম

১ম ধাপ :

অনলাইনে পাসপোর্ট করতে হলে প্রথমে সোনালী ব্যাংক বা নির্ধারিত ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে। কেননা অনলাইনে ফর্ম পূরণ করার সময় টাকা জমা দেওয়ার তারিখ এবং জমা দানের রিসিটের নম্বর উল্লেখ করার প্রয়োজন হয়।

তাই ফর্ম পূরণের আগে টাকা জমা দিতে হবে। রেগুলার ফি ৩০০০ টাকা এবং জরুরি পাসপোর্ট করতে হলে তার ফি ৬০০০ টাকা। রেগুলার ফিতে পাসপোর্ট পেতে সময় লাগবে ১ মাস। জরুরিভিত্তিতে করতে চাইল ১৫ দিনের মত সময় লাগবে।

একনজরে বেশ কিছু দরখাস্ত দেখে নিন-

যেখানে টাকা জমা দিবেন


বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভাগীয় ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসসমূহের আওতায় সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত শাখাসমূহের তালিকা:

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, আগারগাঁও, ঢাকা – আগারগাঁও,

মহাখালী, কলেজগেট, মোহাম্মদপুর, আওলাদ হোসেন মার্কেট, বিবি এভিনিউ, দিলকুশা, মগবাজার, সেগুনবাগিচা, মালিবাগ, মিরপুর ১২ শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, মনসুরাবাদ, চট্টগ্রাম –

আগ্রাবাদ কর্পোরেট, পাঁচলাইশ ও মিঠাগলী শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, সিলেট – সিলেট কর্পোরেট, স্টেশন রোড, মহাজন পট্টি শাখা।বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, রাজশাহী – রাজশাহী কর্পোরেট শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, রংপুর – কর্পোরেট শাখা ও কাঁচারী বাজার শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, খুলনা – খুলনা কর্পোরেট শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, বরিশাল – বরিশাল কর্পোরেট শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, যাত্রাবাড়ি, ঢাকা – সদরঘাট, খিলগাঁও ও যাত্রাবাড়ি শাখা।বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, উত্তরা, ঢাকা – উত্তরা শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, চাঁদগাঁও, চট্টগ্রাম – কোটহিল, সদরঘাট, বহদ্দার হাট, পাঁচলাইশ শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, কুমিল্লা – স্টেশন রোড, কুমিল্লা কর্পোরেট শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, নোয়াখালী – মাইজদী কোর্ট শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া – ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রধান শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, চাঁদপুর – চাঁদপুর প্রধান শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, হবিগঞ্জ – হবিগঞ্জ প্রধান শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, মৌলভীবাজার – মৌলভীবাজার প্রধান শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, কক্সবাজার – কক্সবাজার প্রধান শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, রাঙামাটি – রাঙামাটি প্রধান শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, বগুড়া – বগুড়া প্রধান শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, পাবনা – পাবনা প্রধান শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, সিরাজগঞ্জ – সিরাজগঞ্জ প্রধান শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, কিশোরগঞ্জ – কিশোরগঞ্জ প্রধান শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, টাঙ্গাইল – টাঙ্গাইল প্রধান শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, ময়মনসিংহ – ময়মনসিংহ প্রধান শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, দিনাজপুর – দিনাজপুর প্রধান শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, নরসিংদী – নরসিংদী প্রধান শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, ফরিদপুর – ফরিদপুর প্রধান শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, গোপালগঞ্জ – গোপালগঞ্জ প্রধান শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, কুষ্টিয়া – কুষ্টিয়া প্রধান শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, যশোর – যশোর প্রধান শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, পটুয়াখালী – পটুয়াখালী প্রধান শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, মুন্সীগঞ্জ – মুন্সীগঞ্জ প্রধান শাখা।

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, ফেনী – ফেনী প্রধান শাখা।

ভিসা সেল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা – ভিসা সেল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শাখা, ঢাকা।

ভিসা সেল, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম – ভিসা সেল, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শাখা, চট্টগ্রাম।

সোনালী ব্যাংক ছাড়াও আরো পাঁচটি ব্যাংকে পাসপোর্টের টাকা টাকা জমা দেয়া যাবে। এ পাঁচটি ব্যাংক হলো

ঢাকা ব্যাংক,

ব্যাংক এশিয়া,

প্রিমিয়ার ব্যাংক,

ওয়ান ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংক। নতুন পাঁচটি ব্যাংকের যেকোনো শাখায় অর্থ জমা দেয়া যাবে। এসব ব্যাংকে অনলাইনে ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইলের মাধ্যমেও পাসপোর্টের ফি পরিশোধ করা যাবে।

২য় ধাপ

এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। খুব মনোযোগ দিয়ে অনলাইনের ফর্ম পূরণ করতে হবে। যেন কোনো ভুল ক্রুটি না হয়।

অনলাইনে ফর্মপূরণের জন্য প্রথমে পাসপোর্ট অফিসের এ সাইটে যেতে হবে। এখানে ক্লিক করুন– তারপর “I have read the above information and the relevant guidance notes” টিক চিহ্ন দিয়ে “continue to online enrollment” এ ক্লিক করতে হবে।

আপনার নাম ও ব্যক্তিগত তথ্যাদি- যেমন: আপনার নাম, পিতা-মাতার নাম।এই নাম গুলো যেন শিক্ষাগত সার্টিফিকেট কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো একই হয়। কোনো তথ্য ভুল হলে পাসপোর্টে হতে সমস্যা হবে।

মেইল অ্যাড্রেস ও মোবাইল নম্বার দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই যেটি ব্যবহৃত হচ্ছে সেটি দেওয়া উচিত।

টাকা জমা দেওয়ার তারিখ এবং রিসিট নম্বর দিতে হবে। পার্সপোট টাইপ দিতে হবে “ordinary”। যে অংশগুলো লাল স্টার মার্ক দেওয়া রয়েছে, সেগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে।

Delivery Type অংশে ৩০ দিনের জন্য হলে Regular এবং ১৫ দিনের জন্য হলে Express সিলেক্ট করতে হবে।

সম্পূর্ণ ফর্মটি পূরণ হলে পুনরায় এটি চেক করতে হবে। সব তথ্য টিক আছে কি না, তা যাচাই করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।

সবশেষে পূরণ করা ফর্মটি সাবমিট করতে হবে। সফলভাবে সাবমিট করা হলে পূরণ করা ফর্মের একটি পিডিএফ কপি যে ই-মেইল আইডি দিয়ে ফর্ম পূরণ করা হয়েছে, সেখানে চলে আসবে।

৩য় ধাপ

এবার মেইলে আসা পিডিএফ কপির ২ কপি কালার প্রিন্ট করতে হবে। এতে আবেদনকারীর স্বাক্ষর করার স্থনে সই করতে হবে।

নিজের চার কপি ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট ফর্ম নিয়ে পরিচিত কোনো প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার কাছ থেকে সত্যায়িত করে নিতে হবে। পরিচিত কাউকে দিয়ে সত্যায়ন করালে ভাল।

কারণ ওই কর্মকর্তার নাম, যোগাযোগ ও ফোন নম্বার এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর ফর্মে লিখতে হয়।

৪র্থ ধাপ

সত্যায়িত ছবি এবং ব্যাংকের রিসিট আঠা দিয়ে ফর্মের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপিটিও প্রিন্ট করা ফর্মটির সঙ্গে যুক্ত করে দিতে হবে।

যদি ছাত্র হিসাবে আবেদন করলে অবশ্যই স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি সত্যয়িত করে ফর্মের সঙ্গে যুক্ত করতে দিতে হবে।

এসব ধাপ শেষ করলে ফর্মটি জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।

৫ম ধাপ

অনলাইনে ফর্ম পূরণের জন্য ১৫ দিনের মধ্যে ফর্মের প্রিন্ট কপি, সত্যায়িত ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে যেতে হবে পাসপোর্ট অফিসে।

পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার সময় অবশ্যই সাদা পোশাক পড়া উচিত নয়। কেননা ছবি তুললে সাদা পোশাকে তা ভালো হবে না। এ কারণে অন্য রংয়ের পোশাক পড়ে গেলে ছবি ভালো হবে।

সকালের দিকে পাসপোর্ট অফিসে গেলে ভালো হয়। তখন লাইনে ভিড় কম থাকে। সরাসরি মেইন গেইট দিয়ে মূল অফিসে ঢুকতে হবে। সেখানে দায়িত্বরত সেনা সদস্যকে জিজ্ঞেস করুন কোন রুমে যেতে হবে।

সাইন শেষে জানিয়ে দেওয়া হবে ছবি তোলার জন্য কোন রুমে যেতে হবে।

এরপর নির্দিষ্ট রুমে গিয়ে সিরিয়াল আসলে ছবি তোলার জন্য ডাক পড়বে। ছবি তোলার পর ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে।

এবার পাসপোর্ট রিসিভের একটা রিসিট দেওয়া হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন সাপেক্ষে, রিসিট পাওয়ার একমাস বা ১৫ দিনের মধ্যেই আপনি পাসপোর্ট পাবেন।

যাদের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রয়োজন নাই

১. মাননীয় সংসদ সদস্য

২. তিন পার্বত্য জেল পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ

৩. সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরবৃন্দ

৪. উপজেল পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানবৃন্দ

৫. ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান

৬. সকল পর্যয়ে সামরিক-বেসামরিক সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী

৭. সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান/সংস্থার প্রত্যানয় সাপেক্ষে আধাসরকারী ও রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থায় কর্মরত স্থায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারী

৮. অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং তাদের স্ত্রী

৯. সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং তাদের স্ত্রী এবং ১৫(পনের) বৎসরের কম বয়সের সন্তান ১০. ৫ /১০ বৎসর অতিক্রান্ত কিন্তু ১২ বছরের অধিক নহে এমন বৈধ সমর্পনকৃত (সারন্ডারড) পাসর্পোটের ক্ষেত্রে পুলিশ প্রতিবেদনের প্রয়োজন নেই।

পাসপোর্ট সংগ্রহ

কর্তৃপক্ষের দেয়া তারিখে পাসপোর্ট সংগ্রহ করা যাবে। তবে, এই সময়ের মধ্যে অবশ্যই পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষ হতে হবে। পাসপোর্ট দেবার আগে ডিবি পুলিশ বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানায় ভেরিফিকেশন করে।

আর পুলিশের রিপোর্ট প্রদানের পরই পাসপোর্ট পাওয়া যায়।

বি:দ্র: ফরম জমা দেয়ার ১৮ দিনের মধ্যে আপনার উল্লিখিত ঠিকানায় পুলিশ আসবে ভেরিফিকেশনের জন্য। আপনার সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরও পুলিশ মহাশয়কে খুশি করতে ২০০-১০০০ টাকা খরচ দিতে হতে পারে।

অনলাইনে পাসপোর্ট চেকিং করার জন্য

নির্ধারিত ডেলিভারী তারিখে আপনার পাসপোর্ট ডেলিভারী নিতে পারবেন কিনা তা অনলাইনে জানতে পারবেন।

নতুন/১২ বছর উত্তীর্ণ পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন

দুই কপি আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সাথে অতিরিক্ত পাসপোর্ট সাইজের এক কপি এবং ষ্ট্যাম্প সাইজের এক কপি ছবি জমা দিতে হবে।

অতি জরুরী হলে আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য খরচ পড়ে ৬.০০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের খরচ হয় ২,৫০০ টাকা। পুলিশ ভেরিফিকেশনের পর ৭২ ঘন্টার মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায়।জরুরী পাসপোর্টের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক হলে ৩,৫০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য খরচ পড়ে ২,০০০ টাকা।

১১ দিন অতিক্রান্ত হলে পুলিশ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর ১২ দিন থেকে ২১ দিনের মধ্যে পাসনপোর্ট পাওয়া যাবে। অন্যথায় ২১ দিন পর। সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আন্তর্জাতিক হলে ২,৫০০ টাকা এবং বিশেষ হলে ১,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়।

২১ দিন অতিক্রান্ত হলে পুলিশ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর ৩০ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। অন্যথায় ৩০ দিন পর।

১০ বছর উত্তীর্ণ এর ক্ষেত্রে পাসপোর্টের জন্য আবেদন

আবেদনপত্রের সাথে এক কপি ছবি জমা দিতে হবে। জরুরী পাসপোর্ট প্রয়োজন হলে আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ৩,০০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ২,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়।

আবেদনপত্র জমা হওয়ার ৭ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায়। আর সাধারণ হলে আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ২,০০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ১,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়।

আবেদনপত্র জমা হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায়।

হারানো পাসপোর্টের বিপরীতে পাসপোর্টের জন্য আবেদন

এ ক্ষেত্রে জিডির কপিসহ আবদেন করতে হবে। জরুরী প্রয়োজন হলে আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ৩,০০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ২,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়।

আবেদনপত্র জমা হওয়ার ৭ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায়।সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আন্তর্জাতিক হলে ২,০০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্ট হলে ১,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়।

আবেদনপত্র জমা হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায়।পুরাতন রেকর্ড যাচাই করে সঠিক পাওয়া গেলে হারানো পাসপোর্টের বিপরীতে নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়।

পাতা শেষ/ ছবির মিল নেই/পাতা নষ্ট হবার কারণে পাসপোর্টের জন্য আবেদন

এক কপি ছবি আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে। জরুরী পাসপোর্ট এর জন্য আন্তর্জাতিক ৩,০০০ টাকা এবং বিশেষ ২,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়।

আবেদনপত্র জমা হওয়ার ৭ (সাত) দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায়। পুরাতন রেকর্ড যাচাই করে সঠিক পেলে অন্যথায় তদন্তে প্রেরণ করতে হবে।

রিপোর্ট প্রাপ্তির পর পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। আর সাধারণ হলে আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট এর জন্য ২,০০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ১,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। আবেদনপত্র জমা হওয়ার ১০ (দশ) দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে।

পুরাতন রেকর্ড যাচাই করে সঠিক পেলে অন্যথায় তদন্তে প্রেরণ করতে হবে। রিপোর্ট প্রাপ্তির পর পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়।

সরকারী, আধা সরকারী, স্বায়ত্বশাষিত সংস্থা, কর্পোরেশনের কর্মকর্তা/ কর্মচারী এবং তাঁদের ১৫ বছর বয়সের নীচের সন্তানদের পাসপোর্টের আবেদন

মন্ত্রণালয়/বিভাগ/ অধিদপ্তর/ দপ্তর প্রধানের নিকট হইতে নির্ধারিত ফরমে এনওসি আবেদন পত্রের সাথে জমা দিতে হবে।

আবেদনপত্র জমা হওয়ার ৭ (সাত) দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। সাধারণ আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ২,০০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ১,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়।

সরকারী, আধা সরকারী, স্বায়ত্বশাষিত সংস্থা, কর্পোরেশনের কর্মকর্তা/ কর্মচারী এবং তাঁদের ১৫ বছরের অধিক বয়সের সন্তানদের পাসপোর্টের আবেদন

আবেদনপত্রের সাথে কেবলমাত্র নির্ভরশীল সন্তানদের ক্ষেত্রে বাবা/মায়ের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে।জরুরী আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ৩,০০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ২,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। ১১ দিন অতিক্রান্ত হলে পুলিশ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর ১২ দিন থেকে ২১ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে।

অন্যথায় ২১ দিন পর।আর সাধারণ আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ২,০০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ১,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। ২১ দিন অতিক্রান্ত হলে পুলিশ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর ৩০ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। অন্যথায় ৩০ দিন পর।

শিক্ষা সফরে বিদেশ গমণ ইচ্ছুক ছাত্র/ ছাত্রীদের পাসপোর্টের জন্য আবেদন

আবেদনপত্র অবশ্যই দলগত ভাবে হতে হবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত থাকতে হবে। সাধারণ আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ২,০০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ১,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। পুলিশ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়।

অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের ক্ষেত্রে

পেনশন অর্ডার কিংবা পেনশন বহির ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে। সাধারণ আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ২,০০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ১,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়।

আবেদনপত্র জমা দেয়ার ৭ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।

সেনা/নৌ/ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের ক্ষেত্রে

আর্মি গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশ থাকতে হবে। সাধারণ আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ২,০০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ১,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। আবেদনপত্র জমা দেয়ার ৭ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়।

নবায়ন

নতুন পাসপোর্টের জন্য নির্ধারিত ফি এবং নবায়ন ফি উভয়ই প্রদান করতে হবে। জরুরী আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ২,৫০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ১,৫০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। আবেদনপত্র জমা দেয়ার ৫ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হয়।

কোন পাসপোর্টের নবায়ন/সংযোজনের ক্ষেত্রে জাল সনাক্ত হলে উক্ত পাসপোর্ট বাতিল করে নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করা হয় (নতুন পাসপোর্ট ও নবায়ন উভয় ফি গ্রহণ সাপেক্ষে)। সাধারণ আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ১,৫০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ১,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়।

আবেদনপত্র জমা দেয়ার ১০ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হয়। কোন পাসপোর্টের নবায়ন/সংযোজনের ক্ষেত্রে জাল সনাক্ত হলে উক্ত পাসপোর্ট বাতিল করে নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করা হয় (নতুন পাসপোর্ট ও নবায়ন উভয় ফি গ্রহণ সাপেক্ষে)।

নতুন পাসপোর্টের জন্য নির্ধারিত ফি এবং সংযোজন ফি উভয়ই প্রদান করতে হবে। জরুরী আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ৫০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ৩০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়।

আবেদনপত্র জমা দেয়ার ৫ (পাঁচ) দিনের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হয়। কোন পাসপোর্টের নবায়ন/সংযোজনের ক্ষেত্রে জাল সনাক্ত হলে উক্ত পাসপোর্ট বাতিল করে নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করা হয় (নতুন পাসপোর্ট ও নবায়ন উভয় ফি গ্রহণ সাপেক্ষে)।

সাধারণ আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ৩০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ২০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। আবেদনপত্র জমা দেয়ার ১০ (দশ) দিনের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হয়।

কোন পাসপোর্টের নবায়ন/সংযোজনের ক্ষেত্রে জাল সনাক্ত হলে উক্ত পাসপোর্ট বাতিল করে নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করা হয় (নতুন পাসপোর্ট ও নবায়ন উভয় ফি গ্রহণ সাপেক্ষে)।

বিদ্যমান পাসপোর্টে সন্তানের নাম সংযোজনের আবদেন

এ ক্ষেত্রে আবেদনকারীর দুই কপি আবেদন জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সাথে বাবা/মায়ের ছবি সত্যায়িত করে সংযুক্ত করতে হবে।

প্রতিটি সন্তানের জন্য অতিরিক্ত দুই কপি করে ষ্ট্যাম্প সাইজের ছবি জমা দিতে হবে। জরুরী আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ৫০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ৩০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়।

পুলিশ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর পাসপোর্ট পাওয়া যায়।আর সাধারণ আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের ক্ষেত্রে ৩০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ২০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়।

পুলিশ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর পাসপোর্ট পাওয়া যায়।সংশোধন ও সংযোজন:বয়সঃ– বয়স সংশোধনের ক্ষেত্র এস এস সি কিংবা সমমানের পরীক্ষার সনদ অথবা অর্থোপেডিক ডাক্তারের সনদ অথবা জন্ম নিবন্ধিবরণ সনদপত্র আবশ্যক হবে।

নাম

নাম সংশোধনের ক্ষেত্র এস এস সি কিংবা সমমানের পরীক্ষার সনদ বা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতের হলফনামা (এফিডেভিট) এবং পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি আবশ্যক হবে।

পেশা

পরিবর্তিত পেশার স্বপক্ষে সনদ।

ঠিকানা

স্থায়ী/বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ড অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা বাড়ির দলিল আবশ্যক হবে।

সন্তানের নাম কর্তন

আবেদনপত্রের ‘খ’ এর ৮নং কলাম পুরণ করতে হবে।সন্তান সংযোজনঃ সন্তানের জন্ম সনদ দিতে হবে । সন্তানের নাম সংযোজনের ক্ষেত্রে পুলিশ /তদন্ত প্রতিবেদন না গেলে পাসপোর্ট পাওয়া সম্ভব হবে না।

Comments to: পাসপোর্ট করার নিয়ম

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    Attach images - Only PNG, JPG, JPEG and GIF are supported.

    Login

    Welcome to Chithipotro

    You are couple of steps away from being one of our family member
    Join Us