দোকান ঘর ভাড়া নিতে চাইলে অবশ্যই নিয়ম মেনে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তিপত্র করতে হবে। নিয়ম মেনে চুক্তিপত্র হলে আইনানুন অনেক সুবিধা পাবে দুই পক্ষই।
এই চুক্তি পত্রের মধ্যে অনেক খুটিনাটি বিষয় থাকে যা খুব খেয়াল করে দেখে নিতে হয়।
বুঝতে হয় কোন শর্ত আপনার বিপক্ষে যাচ্ছে বা ভবিষ্যতে যেতে পারে। তাই দোকানঘর ভাড়ার চুক্তিপত্র করার সময় খুব সাবধানী হতে হবে।
তারিখঃ-০১-১০-২০২১ খ্রিঃ
প্রথম পক্ষঃ | দ্বিতীয় পক্ষঃ |
মোঃ হাসিব রহমান । পিতাঃ মৃত্যু মছির উদ্দিন। গ্রামঃ রসুলপুর। ডাকঘরঃ বাগদুয়ার। উপজেলাঃ পীরগঞ্জ জেলাঃ রংপুর। | মোঃ সোহেল মিয়া। পিতাঃ মৃত্য আমজাদ আলী। গ্রামঃ রসুলপুর। উপজেলাঃপীরগঞ্জ জেলাঃ রংপুর। |
আমি মোঃ সোহেল মিয়া (দ্বিতীয় পক্ষ) রসুলপুর বাজার সংলগ্ন নিজস্ব জমিতে ১ম পক্ষের নির্মিত আধাপাঁকা দোকানঘর যাহার দৈর্ঘ ১০ হাত প্রস্থ ০৬ হাত।
উক্ত দোকানঘরটি ১ম পক্ষের নিকট মাসিক ভাড়া ভিত্তিক চুক্তিতে ব্যবসা করার জন্য প্রস্তাব উথাপন করিলে ১ম পক্ষ মাসিক ভাড়া ভিত্তিক হিসেবে দ্বিতীয় পক্ষের বরাবরে প্রদান করার সম্মতি জ্ঞাপন করিলে উভয় পক্ষ নিম্নে বর্নিত শর্ত স্বাপেক্ষে মানিয়া লওয়ার সম্মতিতে অত্র চুক্তিপত্র নামা সম্পাদিত হইল।
আরো কিছু দরকারী লেখা পড়ুন
- দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র
- দোকান ঘরের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম
- জমি বন্ধকের অঙ্গিকার নামা
- দোকানঘর ভাড়ার চুক্তি পত্র
- চুক্তি করবেন যেভাবে
- ফ্ল্যাট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে লক্ষণীয়
- ফ্ল্যাট ক্রেতা বিক্রেতার চুক্তিপত্র
- জমি বন্ধকের চুক্তি নামা
- প্রেসের সাথে চুক্তিপত্র
- কোন চুক্তিপত্রে কত টাকার স্ট্যাম্প ব্যবহার করতে হয়?
- পার্টনারশিপ চুক্তিপত্র দলিল
- দলিল বাতিলের মামলা কিভাবে করতে হয়, কি কি লাগে?
- বায়না দলিল বাতিল করার নিয়ম
- সম্পত্তি দান করতে চাইলে যা করবেন
- বায়না দলিলের শর্তাবলি
- হেবা দলিল বাতিল করার নিয়ম
- দানপত্র/হেবাবিল এওয়াজ দলিল রেজিস্ট্রি খরচ
- জমির মাপ
- জমির হিসাব
- ডেভেলপারের সঙ্গে চুক্তির আগে-পরে ভূমি মালিক ও ফ্ল্যাট ক্রেতার করণীয়
- বায়নানামা দলিল লেখার নিয়ম
দোকানঘর ভাড়ার চুক্তি পত্রের শর্ত সমুহ নিম্নরুপঃ
১। দ্বিতীয় পক্ষ অগ্রিম জামানত বাবদ ১২,০০০/=(বার হাজার) টাকা ১ম পক্ষ বরাবরে প্রদান করিবে। তবে উক্ত ১২,০০০/=(বার হাজার )টাকা জামানত থেকে প্রতি মাসে ঘরভাড়া বাবদ অর্থাৎ ০১-১০-২০২১ইং হইতে কর্তন হইতে শুরু হইয়া ০১-০৮-২০২৫ইং তারিখে ( জামানত টাকা) শেষ হইবে।
২। দোকানঘরটির বৈদ্যুতিক বিল সহ আনুসাঙ্গিক যাবতীয় খরচাদী দ্বিতীয় পক্ষ নিজ দায়িত্বে পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিবেন।
৩। মেয়াদকালের মধ্যে দোকানঘরের মাসিক ভাড়া অপরিবর্তিত থাকিবে এবং মেয়াদ শেষে অগ্রিম জামানত সহ মাসিক ভাড়া পরিবর্তনের দায়-দায়িত্ব ১ম পক্ষের থাকিবে। তবে ২য় পক্ষ পুনরায় ব্যবসা করিতে আগ্রহী থাকিলে তিনিই নতুন করে দোকান ভাড়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধীকার পাইবেন।
৪। বিশেষ কোন কারণে দ্বিতীয় পক্ষ ব্যবসা কার্য্য পরিচালনা করিতে অপারগ হন তাহা হইলে ২য় পক্ষ কমপক্ষে ০১ (এক) মাস পুর্বে প্রথম পক্ষকে অবগত করিতে হইবে।
৫।চুক্তি বদ্ধ সময়ের মধ্য অর্থাৎ দোকানঘরের মেয়াদকালের মধ্যে প্রথম পক্ষ দ্বিতীয় পক্ষকে দোকান ছাড়ার তাগিদ দিতে পারিবে না।
উল্লিখিত শর্ত সমুহ উভয়পক্ষ নিজে পড়িয়া শুনিয়া অন্যের কাহার দ্বারা প্রভাবিত না হইয়া স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে সুস্থ মস্তিকে এই ‘চুক্তিপত্র’ –এ নিজ নিজ নাম সহি/স্বাক্ষর করিলেন।
স্বাক্ষর ১ম পক্ষঃ | স্বাক্ষর ২য় পক্ষঃ |
স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষরঃ | ||
১। নামঃ পিতার নামঃ গ্রামঃ | ২। নামঃ পিতার নামঃ গ্রামঃ | |
আরো পড়ুন চুক্তি করবেন যেভাবে
No Comments
Leave a comment Cancel