স্যার,
অনেকেই সহধর্মিণী হতে পারে আমি তোমার সহমর্মিনী। সহমর্মিতা সবাই দেখাতে পারে না। আমি কারো কাছে Better-half হলেও আমি তোমার Best- half.
দিঠির মানে কি জানা আছে? দিঠি মানে দৃষ্টি। দৃষ্টিকোণের অনুরণনে তোমায় চিঠি লিখে বসলুম।
জানো? ওরা আমাকে গল্প লিখতে বলেছে। কিন্তু গল্পগুলো যদি অল্প করে জীবন নামক জিনিসটার সাথে অবগাহন করা যেতো, অল্পভাষ্যে মিত হাস্যে যদি প্রকাশ করা যেতো, ভালো হতো। বলো?
আমরা গল্প শুনি এবং বলি যারা নিজেদের সর্বসুখ বলি দিয়ে কিছু না কিছু করে সেড়েছেন। ম্যাডাম, ধরোতো যারা পারেনি, অনন্য চেষ্টা আর অপার কিছু পাওয়ার তেষ্টা যাদের সাথে সহমত পোষণ করেনি তাদের গল্পগুলো তো অধরাই থেকে যায় বলো?
তাদের ব্রাত্য তথ্যগুলোতো আর তেমন একটা লেখ্য আর কথ্যরূপ পায় না। ইচ্ছে করে জানো প্রত্যয় নিয়ে সকলের যদি কিছু আশা-প্রত্যাশায় ভাগ বসাতে পারতুম? তোমাকে ভালো রাখতে পারতুম, ভালোবাসাময় করে আয়োময় করে দিতে পারতুম তোমার জীবন তাহলের অর্থহীন জীবনটা কিছুটা প্রাণ ফিরে পেতো।
মার্ক টোয়াইন এর একটা লেখা আছে, ‘We compromise in line with our sacrifice to support our rapport believing that if we love someone and need someone indeed it means a lot to go against our lot!’ স্যার তুমি একদিন আমাকে বলেছিলে, ‘জানো, আমরা সবাই একটা বায়াসে ভুগি।
সেটা হলো নর্মালসি বায়াস।’ আমি বললাম সেটা আবার কী? সে বলল, ‘যথেষ্ট ঝুঁকি থাকার পরেও এই যে অনাগত বিপদকে গুরুত্ব না দিয়ে সবকিছুকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখার প্রবণতা, একেই বলা হয় নরমালসি বায়াস (Normalcy Bias) বা নরমালিটি বায়াস।
আমিও ভুগতাম আগে এখন আর ভুগি নারে।’ আগে ভাবতাম সব ঠিকভাবেই চলবে আসলেই চলছে ঠিকমত কারণ আমি ঠিকভাবে দেখছি জীবনটাকে। আরে কথায় আছে না,
‘Every man is a volume if you know how to read him.’ যথা দৃশ্যতঃ তথা শিষ্যতঃ’ আগে ভাবতাম মানুষ অভ্যাসের দাস, এখন ভাবি অভ্যাসই মানুষের দাস। জীবনটাকে এভাবেই গুছিয়ে নিয়েছি।
তুমি আমাকে একটা লিখা লিখে দিয়েছিলে আমি সেটা গুগল কিপ নোটে সেইভ করে রেখেছিলাম। সেটা হলো- আমরা কেউ কেউ হয়তো ‘We reject ‘ না বলে ‘We fail to accept’ বলে থাকি।
ইংরেজি সাহিত্যেও এইরকম ভাষায় খুব কর্কশ ভাবে আঘাত দিয়ে কথা বলার প্রবণতাকে পরিহার করাকে ‘Euphemism’ বলে যাকে ভালো বাংলায় বলা হয় ‘মঞ্জুভাষণ’। সে কারণেই ‘আমাদের ছেলে পরীক্ষায় ফেল করেছে’ না বলে আমরা বলি, সে ‘পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি।’
আমরা কোন জায়গা থেকে প্রস্থান নেয়ার সময় ‘ আমি যাই’ বললে গুরুজন বাধা দিয়ে বলেন, ‘ যাই বলে না বলো আসি’ এইটাও একধরণের ‘মঞ্জুভাষণ’। ‘ আমি যাচ্ছি বাবা’ একটা গান আছে সেখানে এই বিষয়টি মাথায় রাখলে গায়ক ভালো করতেন ।
কেউ মারা গিয়েছে না বলে আমরা বলি, ‘ তিনি ঈশ্বরের আশীর্বাদপ্রাপ্ত হয়েছেন বা উনাকে ঈশ্বর তুলে নিয়েছেন!’ ইংরেজিতে ‘Died’ এর জায়গায় ‘passed away’, ‘Unemployed ‘ এর জায়গায় ‘Between jobs’ ব্যবহার করি।
‘Euphemism’ এর বিপরীত হল ‘Dysphemism’ যার মানে হলো যেখানে ভাল শব্দ ব্যবহার করা যায় সেখানে আফসারাপ অপ্রীতিকর শব্দ ব্যবহার করা। It refers to using dysphemism
using unpleasant term instead of a pleasant or neutral one. But এইটা যারা ব্যবহার করেন তাদের কাছে হয়তো Dante Alighieri এর সেই উক্তিটি অজানা।
সেটি হলো ”’The darkest place in hell are reserved for those who maintain their neutrality in times of crisis.” ‘Dysphemism ‘ এর ক্ষেত্রে ‘Died’ এর বদলে ‘ snuffed out’, ‘Cigarette ‘ এর বদলে ‘Cancer stick’ ব্যবহার করা হয়। Let the world think positive, think with euphemism!
স্যার, লাস্টের লাইনটা পড়তে গিয়ে ময়লা পড়েছে অজুহাতে কেঁদেছিলাম অনেকখানি। কিছু লিখেছিলাম তোমাকে দিবো বলে অভাগাদের নিয়ে।
‘To me, the heaviest thing in the world is to be unfamiliar to oneself by own. This is the last phase when people propelled themselves or themselves to death. I am very much terrified about this malady which is cognized as suicide.
This is not a story that can be told rather I am about to depict those people who had the cherish to write and rewrite their dream of their own but the phobia of being on the top leads them to give up. Their inner agony and the inability to express- what they want to impress their own soul, stir them to cease rather than chase.
In this world, many people who used to strain every nerve in the dog-eats-dog situation, ended up in vain even if they can breathe holding their vein. Their souls do not let them comply with the walk and talk the talk scenario.
Once Mark Twain said, ‘Every bad thing happens because of lacking in good spirit.’ Doxophobia and Alexithymia lead us to be on our role and to be on the constant goodness. And that engrosses a position where none can manipulate his or her thoughts.
Neither they can retrospect lucidly nor can forecast with prudence. The essence of life seems to be more bittered and everything is counted as wastage of money on time.’
স্যার হয়তো আমাদের নিয়ে জীবনাগল্প হবে না। হবে না বলা, বালাই ষাটমূলক আমাদের অমূলক জীবন গুলোর চেয়ে বিশ্বাস করো কলুষিত জীবন এর মুলদ অমুলদ সংখ্যার মূল্য মূলত ঢের এই সমাজে।
এইসব হতেই থাকে। আমরা শিক্ষা পাই আর এটাই আমাদের প্রাপ্তি। ভালো থেকো স্যার। দেখো স্যার, আমরা কতো না ভালো আছি। আকাশের ঠিকানাতে চিঠি লিখি, হিয়ার মাঝে অদ্বিতীয় নামক তুমিকে দেখি। এটাই অনেক, তাই না?
জীবনের প্রতিকূলতা তো আসবেই আর সেগুলাই একদিন গল্প হবে এটাই চাওয়া আর পাওয়া। ওইযে বলেনা- ‘Every relation is like ECG, till there is ups and downs we are alive but when there is nothing then we become nothing! ‘
স্যার, তোমার কাছে আমি সবসময় একমেবাদ্বিতীয়ম আর আমার কাছে তুমি।
ভালো থেকো,স্যার।
ইতি
তোমার প্রীত, ম্যাডাম।
লিখেছেন: Pranta Roy Chowdhury (অনুপম)
No Comments
Leave a comment Cancel