সৈয়দ আবুল হোসেন
সংসদ সদস্য
২২০, মাদারীপুর-৩
(কালকিনি-মাদারীপুর)
তারিখ: ২৫ মার্চ ২০১৩

মো. আবদুল হামিদ এ্যাডভোকেট
মাননীয় স্পীকার
পশ্চিম ব্লক, কক্ষ নং-৫২১
লেভেল-৫, সংসদ ভবন
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ
ঢাকা।

মাননীয় স্পীকার,
আসসালামু আলাইকুম।
গত ১৬ মার্চ ২০১৩ তারিখে কুমিল্লায় একটি সড়ক দুর্ঘটনার খবর দেখে মর্মাহত হয়েছি। এ দুর্ঘটনায় একই গ্রামের ৭ জন শিশু ছাত্রছাত্রী অকালে মারা গেছে। শোকের মাতম হাতিমারা এই গ্রামে এখন। বুকফাটা কান্নার রোল পুরো গ্রামে।

স্কুল ছুটি শেষে স্কুলভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিল শিশুরা। একটি ট্রাকভ্যানের চাপায় ৭ জন শিশুর প্রাণ অকালে ঝরে যায়। এ দুর্ঘটনায় নিহত শিশুদের পরিবার এক অসহায় পরিস্থিতির শিকার। পরিবারগুলোর আশা-আকাক্সক্ষা চিরতরে নিভে যায়।

এ ঘটনা মর্মান্তিক, বেদনাদায়ক। এজন্য আমি মর্মাহত, গভীর শোকাভিভূত। এ ঘটনার পর সারারাত ভেবেছি-এ থেকে আমরা কীভাবে মুক্ত হব-কিন্তু সরাসরি কোনো পথের সন্ধান পাইনি।

আবার আজকের (২৫.০৩.১৩) পত্রিকায় দেখলাম-হবিগঞ্জে এক সড়ক দুর্ঘটনায় দায়িত্বরত পুলিশের পিকআপ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে এবং ১৭ জন পুলিশ আহত।

তবে এই ঘটনা নিয়ে কোনো পত্রিকা এবং টকশোতে এখন আর তেমন কোনো বক্তব্য বা আলোচনা বা কোনো সুধীজনের মর্মাহতের কথা শুনতে বা দেখতে পাইনি। এ ব্যাপারে সুধীজনের তরফ থেকে, কোনো জনপ্রতিনিধির কাছ থেকেও কোনো শোকবাণী পাওয়া যায় না।

কাউকে দোষারোপের বিষয় নয়-ঘটনাটি যে সবার দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে, এ নিয়ে টেলিভিশনের টকশোতে বা শহীদ মিনারে কেউ যায়নি-এ বিষয় দেখে ভালো লেগেছে। দুর্ঘটনা দুুর্ঘটনাই। দুুর্ঘটনাকে যত কমিয়ে আনা যায়, ড্রাইভারদের সচেতন করা যায়, ততই মঙ্গল। দুর্ঘটনাবিহীন দিন, অকালমৃত্যুবিহীন দিন-সবার কাম্য।

মাননীয় স্পীকার, সড়ক দুর্ঘটনা বিশ্বের সর্বত্র ঘটে থাকে। আফ্রিকার পরে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার হার বেশি। এ নিয়ে আলোচনা, উদ্যোগ সর্বত্র পরিলক্ষিত। সড়ক দুর্ঘটনা কারো কাম্য নয়। আপনারও নয়, আমারও নয়।

মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় দেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মিশুক মুনীর মারা যাওয়ার পর কতিপয় সুধীজন যেভাবে টিভির পর্দায় তখনকার যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে আমাকে জড়িয়ে কথা বলেছেন-তা আজও আমার মনে আছে।

যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে কতিপয় বিশিষ্ট ব্যক্তি আমার পদত্যাগ চেয়েছিলেন। শেষাবধি আমি পদত্যাগও করেছি। কিন্তু যে দুর্ঘটনার কারণে তারা আমার পদত্যাগ চেয়েছেন-সেজন্য আমাকে কি সরাসরি দায়ী করা যায়?

তদন্তে দেখা গিয়েছে দুই গাড়ির ড্রাইভার দুজনের অসতর্কতা ও অতিবৃষ্টির কারণে ভিজিবিলিটি না-থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঐ সড়কে কোনো খানাখন্দক কিংবা গর্ত ছিল না, কোনো সমস্যা ছিল না।

অথচ এতে যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে আমাকে দায়ী করে পদত্যাগ চাওয়া হলো। শহীদ মিনারে কচিকাঁচা ছোট্ট শিশুদের গলায় আমার পদত্যাগ চাওয়া হয়েছে। গুরুত্ব বাড়াতে শহীদ মিনারে ঈদের দিনে শিশুদের গলায় ‘মন্ত্রীর পদত্যাগ চাই’-ব্যানার ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছিল।

একথা ঠিক, দেশের দুই বিশিষ্ট ব্যক্তির অকালমৃত্যু আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। সেজন্য আমি মর্মাহত হয়েছি। দুঃখ পেয়েছি।

মাননীয় স্পীকার, আমি যোগাযোগমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পরও বহু দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমার পদত্যাগের পরপরই ঢাকা-বরিশাল রুটে একসাথে ১৪ জন একই গাড়িতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই জায়গায় মারা যান। এরপর সড়ক দুর্ঘটনা, প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনা।

পরিসংখ্যানে দেখা যাবে, যে ঈদে শহীদ মিনারে অবস্থান নেয়া হয়েছিল-সে ঈদের পরবর্তী গত ঈদে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। এবং এখনো প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। এসব দুর্ঘটনা নিয়ে আর কোনো সরব আলোচনা হয়নি। কথা হয়নি। লেখালেখি হয়নি। মিছিল হয়নি।

‘পদত্যাগ চাই’-ব্যানার নিষ্পাপ অবুঝ শিশুদের গলায় ওঠেনি। তাহলে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার পদত্যাগ চাওয়া পরিকল্পিত ছিল কিনা, সমীচীন ছিল কিনা, মনে হয়, তা ভেবে দেখার সময় এসেছে।

মাননীয় স্পীকার, বাংলাদেশ এত ছোট যে, আমরা সবাই সবাইকে চিনি, জানি। কাউকে বুঝতে হলে অনেক দূর যেতে হয় না। তাছাড়া আপনি আমাকে ভালো করে চিনেন। আমাকে অত্যন্ত ¯েœহ করেন।

মূলত কতিপয় বিষয়ে অসত্য তথ্য দিয়ে কতিপয় পত্রিকা রিপোর্ট করে আমার ব্যক্তিগত ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে আমি অল্প সময়ের জন্য টিসিবি’র চাকরি দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেছিলাম।

পরবর্তীকালে ব্যবসার উদ্দেশ্যে চাকরি থেকে ইস্তফা দিই। ব্যবসায়ে নিজেকে পুরোপুরি নিয়োজিত করি। প্রথমে আমদানি-রপ্তানি এবং পরবর্তীতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টরে মনোযোগ দিই। ব্যবসায়ে উন্নতি লাভ করি।

দুর্মুখেরা বলে আমি নাকি চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছিলাম। অথচ চাকরি সংক্রান্ত সকল রেকর্ড টিসিবিতে আছে। ১/১১-সময় আমার চাকরির ইস্তফা না বরখাস্ত-বিষয়টি তদন্ত হয়েছিল। ১/১১-এর সেই তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, আমি স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে এসেছি। তাহলে এ মিথ্যা অপবাদ কেন?

আমার পাসপোর্ট ব্যবহার (তদন্তে প্রমাণিত-ত্রুটি ছিল একজন কর্মকর্তার), নিয়েও পত্রিকার হৈচৈ হয়েছে। যোগাযোগমন্ত্রীর অফিস মেরামত ও নতুন গাড়ি ক্রয় নিয়েও অহেতুক অসত্য লেখা হয়েছে, কার্টুন ছাপা হয়েছে।

সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয় লেখা হয়েছে। অথচ কোনো নতুন গাড়ি কেনা হয়নি। অফিস মেরামত করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এতে ব্যয় হয়েছে ৭ লাখ টাকার মতো। অথচ কতিপয় পত্রিকা, বিশেষ করে প্রথম আলো ১ কোটি ২০ লাখ টাকা উল্লেখ করে আমাকে বিতর্কিত করেছে।

কালকিনিতে বাড়ি নির্মাণ, সড়ক মেরামত ও উন্নয়ন, সড়ক নিয়ে পত্রিকায় ব্যাপক লেখালেখি হয়েছে। আমার পদত্যাগ চাওয়া হয়েছে। অথচ এব্যাপারে মন্ত্রী হিসেবে আমার কোনো ত্রুটি ছিল না।

মাননীয় স্পীকার, আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রেরিত একটি সারসংক্ষেপ নিয়ে সংসদ সদস্য শ্রদ্ধেয় তোফায়েল ভাই এবং আমার মধ্যে ভুল- বুঝাবুঝির সৃষ্টি করে সংসদে ব্যাপক উত্তপ্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল।

সারসংক্ষেপে যা নেই-সেই মনগড়া বিষয় খবরে সংযোজন করে সংসদ সদস্যদের আমার বিপক্ষে দাঁড় করানো হয়েছিল। অথচ খবরটি ছিল ভিত্তিহীন। সত্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে এ সংবাদ পরিবেশন করা হয়নি।

শ্রদ্ধেয় তোফায়েল ভাইয়ের কাছে কে বা কারা ফটোকপি করে যে সারসংক্ষেপটি পাঠিয়েছিলেন-অনুুরূপ কোনো সারসংক্ষেপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কখনো উপস্থাপন করা হয়নি। যে সারসংক্ষেপটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করেছিলেন, তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত আছে।

ভুল সংবাদের উপর ভিত্তি করে যে মাননীয় সংসদ সদস্য সংসদে আলোচনার সূত্রপাত করেছিলেন, তিনি আজ তথ্যমন্ত্রী। মাননীয় তথ্যমন্ত্রীও যদি চান এ সারসংক্ষেপের একটি কপি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বা যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে সংগ্রহ করে দেখতে পারেন।

সেদিন সংসদের আইন ও বিধি অনুযায়ী এ অসত্য বিষয়ভিত্তিক আক্রমণের ওপর আমি সংসদে বক্তব্য দিতে পারিনি। এ বিষয়ে আমি আলোচনা করার আগে সংসদ-নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেওয়ার কারণে আমার আর বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ ছিল না। কতিপয় পত্রিকায় এ অপসংবাদ প্রচার আমার বিরুদ্ধে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের নামান্তর।

মাননীয় স্পীকার, অনেক অসত্য বিষয় নিয়ে কতিপয় পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে ব্যাপক লেখালেখি হয়েছে। এসব লেখালেখি-আলোচনা যে কত অসার, কত অসত্য, তা সহজেই অনুমেয়। একটু ভাবলে দেখা যাবে, এসব অভিযোগের কোনোটির সাথেই আমার কোনো বৈষয়কি স্বার্থ ছিল না, কোনো লাভের বিষয় ছিল না।

অথচ এ অসত্য লেখাগুলো আমার ব্যক্তিগত ইমেজ নষ্টে সুদূরপ্রসারী কাজ করেছে। আপনি জানেন, পদ্মা সেতুর অসত্য অভিযোগ দাঁড় করানোতেও এসব অসত্য তথ্যের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। এসব অসত্য তথ্যই পদ্মা সেতুর অভিযোগের মূলভিত্তি।

আপনি এটাও জানেন, বিএনপি’র শাসনামলে শে^তপত্র তৈরি, আমার স্বাক্ষর জাল করে উদ্দেশ্যমূলক চিঠি (এ আমলেও এ ঘটনা ঘটেছে) এবং ১/১১-এর সরকার আমার অর্জিত সম্পত্তি এবং পত্রিকার নানা অসত্য প্রতিবেদন ও বিএনপি’র শে^তপত্র নিয়ে চুলচেরা তদন্ত করে এবং তদন্তে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হই।

কার্যত ১/১১ এর কুশীলবরা আমার কর্মজীবন থেকে ২০০৭ পর্যন্ত পত্রিকায় প্রকাশিত আমার বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগ ও বিএনপি আমলের সকল অভিযোগ পুরোটা তদন্ত করেছে। পুরো তদন্তে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি।

আমার মতো একজন সৎ, নিরীহ ব্যক্তিকে নানা উছিলায় নানা ঘটনায় সম্পৃক্ত করে অসৎ বানানোর প্রচেষ্টা কেন-এটা আমি বুঝি না। তবে এতটুকু বুঝি, ’৯১ সনে রাজনীতিতে যোগ দেয়ার পর থেকে আমাকে এসব অসত্য সংবাদের প্রতিক্রিয়া বইতে হচ্ছে।

মাননীয় স্পীকার, পদ্মা সেতু নিয়ে যত লেখালেখি, আলোচনা হয়েছে-তা অসত্য ও অসার। পদ্মা সেতু নিয়ে আমি কোনো অবৈধ কাজ করিনি। কোনো অনৈতিক কাজ করিনি। এক্ষেত্রে আমাকে জড়িয়ে, আমার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিকে জড়িয়ে অসত্য খবর পরিবেশন ও আলোচনার মাধ্যমে যে সন্দেহের আবহ সৃষ্টি করা হয়েছে-তাও মিথ্যা।

বিশ্বব্যাংক অসত্য অভিযোগের ভিত্তিতে যে অভিযোগনামা তৈরি করেছে-তাও একদিন মিথ্যা প্রমাণিত হবে ইনশাল্লাহ। মূলত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার পদ্মা সেতু। এক্ষেত্রে কতিপয় সংবাদপত্র সত্যের অনুসন্ধান না করে, অসত্যকে ফুঁলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রকাশ করে পদ্মা সেতুর নির্মাণকে বিলম্বিত করেছে।

দেশের কোনো মানুষ, কোনো মন্ত্রী যে সৎ হতে পারে, দায়িত্বশীল হতে পারে-সেটা আমরা অনেকেই বুঝতে অক্ষম। বিদেশি দাতাদের আমরা অনেকে সবসময় শ্রেষ্ঠ মনে করি। দাতারা যে অবৈধ কাজে পারদর্শী-তা বুঝতে আমাদের কতিপয় সাংবাদিকতা ও অপসংবাদের অচিরেই মৃত্যু ঘটবে। গণতন্ত্র বিকাশের সাথে সাথে সৎ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা অগ্রগামী হবে। দেশে সততা প্রতিষ্ঠা পাবে।

মাননীয় স্পীকার, আপনাকে এতটুকু বলতে পারি, পদ্মা সেতু এবং কতিপয় পত্রিকার উত্থাপিত অভিযোগে (চাকরি থেকে ইস্তফা, পাসপোর্ট ব্যবহার, যোগাযোগমন্ত্রীর অফিস মেরামত ও নতুন গাড়ি ক্রয়, কালকিনিনিতে বাড়ি নির্মাণ, সড়ক মেরামত ও উন্নয়ন, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রেরিত সারসংক্ষেপ নিয়ে সংসদে উত্তপ্ত আলোচনা ইত্যাদি বিষয়) নিয়ে আমার বিরুদ্ধে লেখালেখি একটি অপপ্রচার।

এর সাথে আমি সম্পৃক্ত নই। আমি চেয়েছি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পথ ধরে পদ্মা সেতুর মতো একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হোক। আমি কখনো কোনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করিনি। আমি সারাজীবন সততা, স্বচ্ছতা বজায় রেখে সরকারি ও সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছি। সৎপথে ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন করেছি।

সৎ পথে উপার্জিত অর্থ এলাকার শিক্ষাপ্রসারে ব্যয় করেছি, গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করছি। আমার বিরুদ্ধে বর্তমানে যে অসত্য অভিযোগের উপাত্ত নিয়ে তদন্ত হচ্ছে এবং এ পর্যন্ত পত্রিকায় প্রকাশিত সকল অসত্য সংবাদ তদন্তে ভিত্তিহীন প্রমাণিত হবে। সঠিক, নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতহীন তদন্তে সত্য প্রকাশ পাবে এবং আমি নির্দোষ প্রমাণিত হব-ইনশাল্লাহ।

দেশের উন্নয়নে, সত্য প্রচারে আপনার ইতিবাচক ভূমিকা প্রত্যাশা করি। আপনার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গলময় জীবন কামনা করি।


গভীর শ্রদ্ধান্তে,
একান্তভাবে আপনার,
সৈয়দ আবুল হোসেন, এমপি

অনুলিপি
১. প্রফেসর ড. আইনুন নিশাত
ব্রাক ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।
২. প্রফেসর ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী
এশিয়া প্যাসিফিক বিশ^বিদ্যালয়, ঢাকা।
৩. তোফায়েল আহমেদ, এমপি, ঢাকা
৪. ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ
বিশিষ্ট আইনজীবী, ঢাকা।
৫. ব্যারিস্টার এ. এম. মাহবুব উদ্দিন
বিশিষ্ট আইনজীবী, ঢাকা।

আরো পড়ুন

Comments to: এ্যাডভোকেট মো. আবদুল হামিদের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    Attach images - Only PNG, JPG, JPEG and GIF are supported.

    Login

    Welcome to Chithipotro

    You are couple of steps away from being one of our family member
    Join Us