সৈয়দ আবুল হোসেন, এমপি
মন্ত্রী
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
তারিখ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১২
জনাব মাহমুদুর রহমান
সম্পাদক
দৈনিক আমার দেশ
ঢাকা।
শ্রদ্ধেয় সম্পাদক,
আসসালামু আলাইকুম।
আপনার আমার দেশ পত্রিকার ৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে ‘দুনীতির পঞ্চপা-ব’ শিরোনামে একটি খবরের প্রতি আমার দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। রিপোর্টে আমার সম্পর্কে যা লেখা হয়েছে-তা সত্য নয়।
এ সংবাদ ভ্রান্ত ও অসত্য তথ্যের উপর লেখা। এ ধরনের অসত্য তথ্য পরিবেশন একজন মানুষের চরিত্রহননের নামান্তর। এ অসত্য সংবাদ মানহানির পর্যায়ে পড়ে।
আপনি শ্রদ্ধেয় ও সম্মানিত মানুষ। একজন সুবিবেচনাপ্রসূত জ্ঞানী মানুষ। চারিদিকের রাজনৈতিক কূটচাল ও ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকেবহাল। দেশের সিনিয়র সিটিজেন।
সম্পাদকদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তিত্ব বলে আমিও আপনাকে শ্রদ্ধা করি, সম্মান করি। আপনার পত্রিকায় অসত্য তথ্যের উপর এ-ধরনের উদ্দেশ্যমূলক লেখা প্রত্যাশিত নয়।
কাজেই যে অসত্য খবর আমার সম্পর্কে প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে তা বন্ধের জন্য আপনার প্রতি অনুরোধ জানাই। চূড়ান্ত বিচারে এ-ধরনের উদ্দেশ্যমূলক ও মানহানিকর সংবাদ অবশ্যই ভুল প্রমাণিত হবে। আশা করি, বিষয়টির প্রতি আপনি দৃষ্টি দেবেন।
শ্রদ্ধেয় সম্পাদক, পদ্মা সেতু নির্মাণের কোনো পর্যায়ে আমি কোনো অনিয়ম করিনি। সারাজীবন আমার দায়িত্ব পালনে এ-ধরনের কোনো অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি। কতিপয় পত্রিকার অসত্য খবর আমাকে নানাভাবে বিতর্কিত করেছে।
পদ্মা সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে শতকরা ১০০ ভাগ সততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হযেছে। এতে কোনো ধরনের কোনো অনিয়ম হয়নি। কোনো ধরনের দুর্নীতির আশঙ্কাও তৈরি হয়নি। বিশ্বব্যাংক কতিপয় স্বার্থান্বেষীদের অসত্য অভিযোগ আমলে নেয়ায় পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে এই অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রতিটি পর্যায়ে বিশ্বব্যাংকের অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরপেক্ষ ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করলে আমার সম্পর্কে, পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের নেতিবাচক ধারণা, দুর্নীতির আশঙ্কা যে অমূলক-তা সহজেই বুঝা যাবে।
কারণ, প্রতিটি পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি’র মূল্যায়ন প্রতিবেদন বিশ্বব্যাংক কর্তৃক অনুমোদনের পরই প্রকল্পের পরবর্তী পদক্ষেপ শুরু করা হয়েছে। এরকম একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হঠাৎ করে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির আশঙ্কা প্রকাশ এবং ঋণচুক্তি বাতিল নজিরবিহীন।
বিশেষজ্ঞ কমিটির মূল্যায়নই কোনো দরদাতা প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা অর্জনের মাপকাঠি, গ্যারান্টি। বিশেষজ্ঞ কমিটির মূল্যায়নকে বিশ্বব্যাংক সঠিক মনে করে তাতে অনুমোদন দিয়েছে। আমি বিশেষজ্ঞ কমিটির মূল্যায়নে কোনো পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন, সংযোজন বা বিয়োজন করিনি।
এ মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় কোনো পর্যায়ে, আমার কোনো সম্প্ক্তৃতা ছিল না। তাই বিশ্বব্যাংক নিজেই একটু মনোযোগ দিয়ে দেখবে-পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির আশঙ্কা প্রকাশ এবং আমার সম্পৃক্ততা খোঁজা যথাযথ হয়নি। এটি একটি নিছক অজুহাত।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তদন্ত সংস্থা-‘দুদক’ পদ্মা সেতুর মূল কাজের কার্যক্রম তদন্তে আমার বা আমার পূর্বতন প্রতিষ্ঠানের কোন সম্পৃক্ততা খুঁজে পায়নি। আমার প্রতিটি কাজ যেহেতু স্বচ্ছতা ও সততার সাথে করা হয়েছে, সেহেতু যে-কোনো তদন্তে আমার স্বচ্ছতা ও সততার প্রমাণ পাওয়া যাবে।
যেখানে মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ ও বিশ্বব্যাংকের অনুমোদন কোনো প্রতিষ্ঠানের কাজ পাওয়ার পূর্বশর্তÑসেখানে আমার দ্বারা কোনো বিশেষ প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ অবান্তর ও যুক্তিহীন।
শ্রদ্ধেয় সম্পাদক, বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির আগাম আশঙ্কা অমূলক। পদ্মা সেতুর প্রস্তুতিপর্বের কার্যক্রম, প্রতিটি গৃহীত পদক্ষেপ এবং এ সংক্রান্ত ডকুমেন্ট নিয়ে গবেষণা করলে, পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করলে দেখা যাবে, এতে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়নি এবং দুর্নীতির আশঙ্কা তৈরির কোনো সুযোগ ছিল না।
আপনার প্রতি আমার আহ্বান-এটকু গভীরভাবে চিন্তা করুন, মূল্যায়ন করুন। দেখবেন-পদ্মা সেতু, সরকার এবং আমি একটি মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক অভিযোগের শিকার।
দেশীয় স্বার্থান্বেষী মহলের এ মিথ্যা অভিযোগ যাচাই না করে তা আমলে নিয়ে বিশ্বব্যাংকের আগাম দুর্নীতির আশঙ্কা প্রকাশ এবং এ নিয়ে দেশের কতিপয় পত্রিকার অতিশয় বাড়াবাড়ি, কার্টুন প্রকাশ, সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয় ও প্রবন্ধ লিখে পদ্মা সেতুর বিষয়ে বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।
কতিপয় পত্রিকার পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলক পুনঃপুন মিথ্যা প্রচারণা সত্য ঘটনাকে মিথ্যা ঘটনায় রূপান্তরিত করেছে। এ মিথ্যা প্রচারণা বিশ্বব্যাংক ও জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। অথচ এসব প্রচারণা সর্বৈব মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রের নামান্তর।
শ্রদ্ধেয় সম্পাদক, প্রকৃতপক্ষে কতিপয় পত্রিকার পরিকল্পিতভাবে পুনঃপুন অসত্য রিপোর্ট প্রকাশ আমার সম্পর্কে জনমনে ভুল ধারণা সৃষ্টিতে সহায়ক হয়েছে। যোগাযোগমন্ত্রী হওয়ার পর যোগাযোগমন্ত্রীর অফিস মেরামত ও গাড়ি ক্রয় নিয়ে অসত্য রিপোর্ট প্রকাশ করে আমাকে বিতর্কিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
অফিস মেরামত ছিল একটি রুটিন ওয়ার্ক। গণপূর্ত বিভাগ আমাকে জানিয়েছিল, অফিস মেরামত বাবদ ব্যয় হয়েছিল ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। অথচ কতিপয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এই ব্যয় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। আর যে গাড়ি নিয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, সে গাড়ি আদৌ ক্রয় করা হয়নি।
সড়ক দুর্ঘটনায় যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে আমাকে অহেতুক দায়ী করে অব্যাহত প্রচারণা একটি অশুভ পরিকল্পনারই ইঙ্গিত বহন করে।
এছাড়া, যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রেরিত সড়ক-সংস্কার সংক্রান্ত একটি সারসংক্ষেপকে উপজীব্য করে কতিপয় পত্রিকার অসত্য রিপোর্ট সংসদের নজরে এলে তা নিয়ে সংসদে উত্তপ্ত আলোচনা হয় এবং তাতে আমাকে সমালোচিত হতে হয়।
কোনো কোনো পত্রিকা লিখেছে, প্রথম জীবনে আমি নাকি সরকারি চাকরি হারিয়েছিলাম। তা আদৌ সত্য নয়। আমার অধস্তন কর্মকর্তার অসতর্কতার কারণে একটি তথ্যগত ভুলের অভিযোগ উঠলে, তদন্তে ও চূড়ান্ত বিচারে তা প্রমাণিত হয়নি।
পরবর্তীতে আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে চাকরি ছেড়ে ব্যবসায় এসেছি, আমার প্রটোকল অফিসারের অসতর্কতার জন্য পাসপোর্ট নিয়ে ঘটনা ঘটেছিল, তাতে আমি বিতর্ক এড়াতে পদত্যাগ করলেও, তখন কেউ আমার প্রশংসা করেনি।
পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এসবি’র যে অসুন্ধান রিপোর্ট খুঁজে বের করা হয়েছিল, তাতে দেখা যায়, ভুলটি হয়েছিল আমার প্রটোকল অফিসারের অজ্ঞতার কারণে। ৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে পাঁচ বছর ধরে আমি ও আমার পরিবারের সম্পদের তদন্ত করে এর রিপোর্ট দিয়েছে যে, আমার বিরুদ্ধে আনীত বেনামি সকল অভিযোগ ভুল।
২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সংবাদপত্রে প্রকাশিত অসত্য খবরের উপর ভিত্তি করে একটি শ্বেতপত্র তৈরি করে এবং আবার নতুন করে তদন্ত করলেও শ্বেতপত্রের কথিত অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি।
১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার দ্বিতীয় কিস্তিতে যাদের নামে তদন্ত করেছিল, সেখানে আমার নামও ছিল। জীবনে অন্যায়, অনিয়ম ও অসৎ পথে হাঁটিনি বলে সেখানেও আমি নির্দোষ প্রমাণিত হই। বর্তমান সরকারের আমলে এসে আমাকে মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে হয়নি, যা অনেকের ক্ষেত্রে হয়েছে।
এগুলো একটু গভীরভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে-এসব অসত্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে কতিপয় পত্রিকা জনমনে আমার সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সহায়তা করেছে। আর তাদের ঠুনকো অসত্য রিপোর্টগুলো আজ আমার বিরুদ্ধে প্রয়োগ করে আমার সততাকে কটাক্ষ করা হচ্ছে এবং পদ্মা সেতু নির্মাণকে বিলম্বিত করা হয়েছে।
শ্রদ্ধেয় সম্পাদক, এখানে উল্লেখ করতে চাই, আপনাকে জানাতে চাই. আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে স্বার্থান্বেষীদের অভিযোগ ও পত্রিকায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্ত করা হয়। বিএনপি ’৯১-৯৬ সালে ক্ষমতায় থাকাকালীন আমার সম্পদ অর্জনের বিষয় নিয়ে স্বাধীনতার পর থেকে ’৯০ পর্যন্ত বেনামি অভিযোগ তদন্ত করে।
তদন্ত শেষে দুর্নীতি দমন ব্যুরো ১৯ জানুয়ারি ১৯৯৬ তারিখে রিপোর্ট দেয় এবং তাতে আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। দ্বিতীয় পর্যায়ে ’৯৬ থেকে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন পাসপোর্ট বিষয়সহ সম্পত্তি নিয়ে পুনরায় পত্রপত্রিকায় ব্যাপক লেখালেখি হয় এবং ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে এ নিয়ে শ্বেতপত্র তৈরি করে।
তদন্ত করে এবং তদন্ত রিপোর্টে কোনো অভিযোগের সত্যতা মিলেনি। পরবর্তীতে ১/১১-এর সময় আমার বিষয়ে তৃতীয় পর্যায়ে ’৭০ দশক থেকে ২০০৭ পর্যন্ত নানা বেনামি অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিকবার তদন্ত করা হয়। ১৩ মার্চ ২০০৮ তারিখে দুদক অমাকে নির্দোষ বলে রিপোর্ট দেয়।
চতুর্থ পর্যায়ে বিশ্বব্যাংকের পদ্মা সেতুর মূল কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতির আশঙ্কা নিয়ে তদন্ত করে যাতে আমার কোনো সম্পৃক্ততা পায়নি। এখন পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগের অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে।
আমি মনে করি, প্রতিটি কাজ যেহেতু আমি স্বচ্ছতা ও সততার সাথে করেছি, সেহেতু এক্ষেত্রেও আমার কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে না।
শ্রদ্ধেয় সম্পাদক, পদ্মা সেতু নির্মাণ বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার। তাই আমি যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে চেয়েছি স্বচ্ছতা, সততা ও দ্রুততার সাথে পদ্মা সেতুর কার্যক্রমকে বাধাহীনভাবে এগিয়ে নিতে। আমি প্রতিমুহূর্ত, প্রতিক্ষণকে কাজে লাগিয়ে লাগানোর চেষ্টা করেছি।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘন্টা কাজ করেছি। সততা, স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সাথে কাজ সম্পাদনে সক্ষম হয়েছি। দ্রুততম সময়ে সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয়পূর্বক দাতা সংস্থাদের সাথে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরের ব্যবস্থা করেছি।
ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন কাজ শেষ করে এসেছি। প্রাক-যোগ্য দরদাতা নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করেছি এবং ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করতে হবে-এ টার্গেট নিয়ে দ্রুততার সাথে এগিয়েছি। ‘বঙ্গবন্ধু সেতুর’ প্রস্তুতির ক্ষেত্রে যে কাজ করতে ১০ বছর লেগেছে, পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রে তা দুবছরে শেষ করেছি।
বিশ্বব্যাংকের চূড়ান্ত অনুমোদন পর্যায়ে হঠাৎ করে কতিপয় স্বার্থান্বেষীদের অসত্য অভিযোগ আমলে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংক অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপন করেছে এবং পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির আগাম আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
অবান্তর, অবাস্তব, অসত্য ভিত্তিহীন দুর্নীতির অভিযোগের কথা বলে পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগের কথা বলে পদ্মা সেতুর টাকা দেওয়া বিশ্বব্যাংক বন্ধ করে দিল। ঋণচুক্তি বাতিল করে দিল। কী লক্ষ্যে, কী উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের জনগণের স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করা হলো-তা আমার কাছে বোধগম্য নয়।
আপনার প্রতি আমার আহ্বান-কতিপয় পত্রিকা ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় আমার সম্পর্কে অসত্য প্রচারণায় প্রভাবিত না হয়ে আমার সততা ও অঙ্গীকারের প্রতি বিশ্বাস রাখুন। স্বার্থান্বেষীদের অর্থ এবং শক্তি, প্রতিপত্তি থাকলে, তিনি বা সে সংগঠনটি সৎ-একথাটি ভাবার কোনো কারণ নেই।
বাংলাদেশের অনেকেই স্বচ্ছতার সাথে, দক্ষতার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। আমি সেই অঙ্গীকার, সেই সততা ও স্বচ্ছতার সাথে দেশের স্বার্থে দায়িত্ব পালন করেছি। এ দায়িত্ব পালনে কারো চাপের কাছে আমি মাথা নত করিনি। সময় তার প্রমাণ দেবে।
সত্যের জয় অবধারিত। আমার বিবেকের কাছে আমি মুক্ত। আমি সততা ও স্বচ্ছতার সাথে কাজ করেছি। উপার্জন করেছি। ট্যাক্স দিয়েছি। জনগণের সেবায়, শিক্ষাপ্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছি। কোনো কাজের জন্য কারো কাছে কখনো অনৈতিক কিছু দাবি করিনি।
বিশ্বব্যাংক স্বার্থান্বেষীদের অসত্য অভিযোগ আমলে নিয়ে পদ্মা সেতুর ঋণচুক্তি বাতিল করে ভুল করেছে। পদ্মা সেতুর নির্মাণকে বিলম্বিত করেছে। বাংলাদেশের জনগণের প্রতি অবিচার করেছে। আমার অর্জিত সুনাম নষ্ট করেছে।
আমি আশা করি, চূড়ান্ত মূল্যায়নে দুর্নীতির আশঙ্কাসহ সকল ভ্রান্ত ও অসত্য প্রমাণিত হবে। পদ্মা সেতু কার্যক্রমের প্রতিটি পর্যায়ে বিশ্বব্যাংকের অনুমোদন এবং সংশ্লিষ্টতা পর্যালোচনা করলে পদ্মা সেতু নির্মাণে আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত হবে।
আমি আশা করব, আমার এ লেখার সত্যতা আপনি উপলব্ধি করবেন। কোনো অসত্য খবরে বিভ্রান্ত না হয়ে, প্রভাবিত না হয়ে আমাকে জড়িয়ে অসত্য রিপোর্র্ট প্রকাশ বন্ধ করবেন এবং সত্য প্রকাশে এগিয়ে আসবেন। আপনার কাছ থেকে আমি সুবিবেচনা কামনা করি।
গভীর শ্রদ্ধান্তে
একান্তভাবে আপনার,
সৈয়দ আবুল হোসেন, এমপি
আরো পড়ুন
- প্রথম আলো সম্পাদকের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- প্রথম আলো সম্পাদকের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি-০২
- আমার দেশ সম্পাদকের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- ওবায়দুল কাদেরের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- প্রথম আলো সম্পাদকের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি-০৩
- অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের খোলা চিঠি
- আকিদুল ইসলামের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- বদরুদ্দীন উমরের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- প্রথম আলো সম্পাদকের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি-০৪
- বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদকের কাছে সৈয়দ আবুল হেসেনের চিঠি
- ড. ইফতেখারুজ্জামানের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- প্রথম আলো সম্পাদকের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি-০৫
- ড. কামাল হোসেনের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- কাজী সিরাজের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- মেজর জেনারেল শেখ মামুন খালেদের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
No Comments
Leave a comment Cancel