সৈয়দ আবুল হোসেন, এমপি
মন্ত্রী
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
তারিখ: ০৫ আগস্ট ২০১২
জনাব ইকতেদার আহমেদ
সাবেক জজ ও সাবেক রেজিস্টার
সুপ্রিম কোর্ট।
শ্রদ্ধেয় মহোদয়,
আসসালামু আলাইকুম।
৫ আগস্ট ২০১২ তারিখে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘পদ্মা তোমার পাপ কে মোচন করবে?’ শিরোনামে প্রকাশিত আপনার লেখার প্রতি আমার দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। আপনার লেখাটি আমি পড়েছি।
আমার নাম উল্লেখ না করে লেখায় আমার সম্পর্কে, যাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ সেকথা উল্লেখ করে আপনি যে মন্তব্য করেছেন-তা আমি পড়েছি। লেখাটি পত্রিকার অসত্য প্রতিবেদন-নির্ভর। পদ্মা সেতু নিয়ে আমাকে জড়িয়ে মিডিয়ায় যা প্রকাশিত হচ্ছে তা সত্য নয়।
আপনি একজন বিচারক, একজন প্রশাসক ছিলেন। একজন কলামিস্ট। আপনার সুনাম সর্বজনবিদিত। আপনি বিজ্ঞজন। দেশের সিনিয়র সিটিজেন। আপনি গ্লোবাল রাজনীতি সম্পর্কে ভালো জানেন।
আমি আপনার লেখার উপর মন্তব্য করব না, তবে সুবিবেচনা নিশ্চয়ই আশা করতে পারি। কারণ, আমি কোনো অন্যায় না করেও আপনাদের সমালোচনার শিকার হচ্ছি। জনগণের কাছে আমাকে ভুলভাবে, নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। আমি মিডিয়ার প্রপাগান্ডার শিকার।
আমি আপনাকে, দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলতে পারি, পদ্মা সেতু নির্মাণে আমি ব্যক্তি সৈয়দ আবুল হোসেন বা আমার পূর্বতন কোম্পানি কোনোক্রমেই জড়িত নয়। আমি পদ্মা সেতুর মূল্যায়ন কমিটি বা বাস্তবায়ন কমিটি কোনোটাইতে সম্পৃক্ত ছিলাম না।
মূল্যায়ন ও পরামর্শক কমিটির মূল্যায়নে আমি শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজনে সম্মতি দিয়ে বিশ্বব্যাংকের কাছে পাঠিয়েছি। বিশ্বব্যাংকের অনুমোদনের পর কার্যক্রমের পরবর্তী ধাপ শুরু করা হয়েছে। আপনি নিশ্চয়ই, বিশ্বব্যাংকের কাজের ধরন ভালো জানবেন।
আমি সারাজীবন সততা, স্বচ্ছতা বজায় রেখে সরকারি ও সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছে। কোনো সময় কোনো অন্যায় ও অনিয়মের সাথে আপোষ করিনি। অসত্য অভিযোগের ভিত্তিতে পদ্মা সেতু নির্মাণ বিষয়ে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির আশঙ্কা প্রকাশ করে যেভাবে একতরফাভাবে ঋণচুক্তি বাতিল করেছে, তা নজিরবিহীন।
তদন্তে বিশ্বব্যাংকের সেই আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণিত হবে। আমাকে জড়িয়ে যে অভিযোগ-তার কোনো সত্যতা নেই, ভিত্তি নেই। যেখানে বিশ্বব্যাংকের একটি টাকাও ছাড় হয়নি, ব্যয় হয়নি, সেখানে দুর্নীতির আশঙ্কা প্রকাশ অমূলক, অবান্তর।
দেশ ও জনগণের স্বার্থে, আপনাদের সুধীজনদের মতামতের প্রতিফলনে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে-আমি মন্ত্রিসভা থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। সঠিক, নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতহীন তদন্তে সত্য প্রকাশ পাবে, আমি নির্দোষ প্রমাণিত হব ইনশাল্লাহ।
তদন্তে যদি আমি নির্দোষ প্রমাণিত হই, হব- ইনশাল্লাহ, তাহলে প্রত্যাশা করব আপনি বিশ্বব্যাংকের বিষয়ে, আমার সততা ও স্বচ্ছতা সম্পর্কে একটি লেখা লিখবেন।
দেশের উন্নয়নে, সত্য প্রচারে আপনার ইতিবাচক ভূমিকা প্রত্যাশা করি। আমি আপনার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গলময় জীবন কামনা করি। আমি দেশবাসীর উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লিখেছিলাম, তা আপনার নজরে এসেছে কিনা জানি না। তার একটি কপি আপনার পড়ার জন্য পাঠালাম।
গভীর শ্রদ্ধান্তে,
একান্তভাবে আপনার,
সৈয়দ আবুল হোসেন, এমপি
মন্ত্রী
আরো পড়ুন
- প্রথম আলো সম্পাদকের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- প্রথম আলো সম্পাদকের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি-০২
- আমার দেশ সম্পাদকের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- ওবায়দুল কাদেরের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- প্রথম আলো সম্পাদকের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি-০৩
- অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের খোলা চিঠি
- আকিদুল ইসলামের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- বদরুদ্দীন উমরের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- প্রথম আলো সম্পাদকের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি-০৪
- বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদকের কাছে সৈয়দ আবুল হেসেনের চিঠি
- ড. ইফতেখারুজ্জামানের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- প্রথম আলো সম্পাদকের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি-০৫
- ড. কামাল হোসেনের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- কাজী সিরাজের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- মেজর জেনারেল শেখ মামুন খালেদের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
- সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি
No Comments
Leave a comment Cancel