সৈয়দ আবুল হোসেন, এমপি
মন্ত্রী
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
তারিখ: ০৮ জুলাই ২০১২

জনাব গোলাম রহমান
চেয়ারম্যান
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
সেগুনবাগিচা, ঢাকা।

বিষয় : পদ্মা সেতুর নির্মাণ তদারকি পরামর্শক (Construction Supervision Consultant) নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু বক্তব্য।

শ্রদ্ধেয় চেয়ারম্যান,
আসসালামু আলাইকুম।
সম্প্রতি পদ্মা সেতুর নির্মাণ তদারকি পরামর্শক (Construciton Supervision Consultant) নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে মিডিয়ায় বিভিন্ন খবর প্রকাশিত হয়েছে। এতে আমাকে জড়িয়ে নানা বিতর্ক অনৈতিক ও অনিয়মের খবর প্রকাশ করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাংক ও দুদক-এর উদ্ধৃতি দিয়ে মিডিয়ায় অনেক নেতিবাচক রিপোর্ট করা হয়েছে। এসব রিপোর্ট ও রিপোর্টের ভিত্তিতে নানাজনের টকশোতে আলোচনা সরকার ও আমার মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে।

ফলে, এ বিষয়ে সত্য উপস্থাপন এবং তা আপনার গোচরে আনা প্রয়োজন বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। আমার এসব তথ্য হয়তো নির্মাণ তদারকি পরামর্শক নিয়োগ সংক্রান্ত আপনার তদš-কাজে সহায়ক হতে পারে।

আমি ৯ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ৫ ডিসেম্বর ২০১১ পর্যন্ত যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু পদ্মা সেতুর নির্মাণ সংক্রান্ত কাজ আমার মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে, পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ-প্রকল্পের অধীনে বাস্তবায়িত হয়েছে।

এ প্রকল্পের অধীন পদ্মা সেতুর ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের পুর্নবাসনসহ প্রস্তুতিকাজ, মূল সেতুর প্রাকযোগ্য দরদাতা নির্বাচন, নির্মাণ তদারকি পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়াসহ যাবতীয় কাজ সমাপ্ত হয়েছে।

এক্ষেত্রে সরকারের নিয়মকানুন, ক্রয়নীতি, বিধি, বিশ্বব্যাংক ও দাতা সংস্থাদের গাইডলাইন-এর আলোকে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং ভূমি অধিগ্রহণ ব্যতীত প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিশ্বব্যাংকের সম্মতির পর পরবর্তী কার্যক্রম গৃহীত হয়েছে।

এক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও আপোষের সুযোগ ছিল না বা সেরূপ কিছু ঘটেনি। প্রতিটি স্তরের কার্যক্রম ছিল স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক।

প্রকল্পের যে-কোনো স্তরের কাজের জবাবদিহি যেমন ছিল যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কাছে, তেমনি ছিল বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য দাতা সংস্থার কাছে। প্রথমত প্রকল্পের কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি) কাজ মূল্যায়নের পর পরামর্শক কমিটি তা মূল্যায়ন করে বিশ্বব্যাংকের কাছে পাঠায়।

বিশ্বব্যাংক মূল্যায়ন করে অনুমোদন দেয়ার পর তার পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হয়। অর্থাৎ কাজের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যাতে কেউ এককভাবে, বিশেষ করে, সেতু বিভাগের বা মন্ত্রণালয়ের কিছু করার অবকাশ না থাকে।

এখানে উল্লেখ্য যে, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একদল বিশেষজ্ঞের সমন্ব^য়ে একটি কারিগরি কমিটি পদ্মা সেতুর সমুদয় কার্যক্রম পৃথকভাবে মূল্যায়ন করেছে। বিশেষজ্ঞদের আন্তরিকতা, সততা, দক্ষতা, নিরপেক্ষতা ও সুখ্যাতি সম্পর্কে কারো সন্দেহের অবকাশ নেই।

শ্রদ্ধেয় চেয়ারম্যান, আমি পদ্মা সেতুর তদারকি পরামর্শক নিয়োগ সংক্রান্ত মূল্যায়নে ন্যূনতম কোনো হস্তক্ষেপ করিনি। উক্ত মূল্যায়ন কমিটির বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ অত্যন্ত আদর্শবান, সৎ ও বিশ্বব্যাপী স্বনামধন্য ব্যক্তি হওয়ায় তাঁদেরকে ব্যক্তিগতভাবে আমি শ্রদ্ধার চোখে দেখি।

এদের সবাইকে আপনিও ভালোভাবে চিনেন, জানেন। তাদের স্বচ্ছতা, সততা আপনার অজানা নয়। কোনো দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেয়ার ব্যাপারে আমি টিইসি’র সদস্যদের কাউকে কোনো কথা বলিনি।

কোনো দরদাতা প্রতিষ্ঠানের কাউকে কোনো কথা দিইনি। এমনকি কোনো প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মূল্যায়ন কমিটির কোনো সদস্যের কাছে তদবির করিনি। দরপত্রের যোগ্যতা অনুযায়ী, মেরিট অনুযায়ী, দরদাতা নির্বাচন প্রক্রিয়া অক্ষুন্ন ছিল।

এ প্রসঙ্গে আপনার জ্ঞাতার্থে আমি উল্লেখ করতে চাই-আমি যোগাযোগমন্ত্রী ছিলাম। সে কারণে কানাডার প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত দু’বার এসএনসি-লাভালিন বিষয়ে আমার সাথে দেখা করেছেন।

রাষ্ট্রদূতরা যে মন্ত্রীর সাথে তাদের দেশের স্বার্থরক্ষার বিষয় নিয়ে দেখা করেন, তা আপনার অজানা থাকার কথা নয়। প্রাক্তন ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও জাপানের রাষ্ট্রদূতও তাদের দেশীয় প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে দেখা করেছেন।

তাদের রেফারেন্সে বিভিন্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিও আমার সাথে বিভিন্ন সময়ে দেখা করেছেন। আমি এদের সবার সাথে বিভিন্ন সময়ে যখন দেখা করেছি, তখন সেতু বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কথা বলেছি।

এই দেখা ও কথা বলা ছিল সৌজন্য এবং ভদ্রতা রক্ষার বিষয়। আমি কখনো একা কারো সাথে দেখা করিনি, কথা বলিনি। এসএনসি-লাভালিনের প্রতিনিধিরাও, অন্যান্য দরদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মতো, আমার সাথে দেখা করেছেন।

আমি তাদের বক্তব্য শুনেছি। তাদের বলেছি আইন ও নিয়মানুযায়ী, মেরিট অনুযায়ী, এসএনসি-লাভালিন যোগ্য বিবেচিত হলে এবং আমার পর্যায়ে উপস্থাপিত হলে আমি বিষয়টি দেখব যাতে তাদের প্রতি কোনো অবিচার না হয়।

এ প্রসঙ্গে আপনাকে জানাতে চাই, প্রাসঙ্গিকভাবে আলাপের সময় এসএনসি-নাভালিয়নের বাংলাদেশে তাদের অতীত নেতিবাচিক কার্যক্রম তথা দুষ্ট রেকর্ডের কথা তাদের আমি স্মরণ করিয়ে দিই।

জনাব আবুল হাসান চৌধুরীকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। আমাদের দলের একসময়ে সক্রিয় নেতা ছিলেন, প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তিনি অত্যন্ত সজ্জন, সুশিক্ষিত, বন্ধুবৎসল ও সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি।

তিনি আমার কাছে এসেছিলেন-এসএনসি-লাভালিনের বিষয়ে আমাকে অনুরোধ জানিয়েছেন-যাতে এসএনসি-লাভালিনের প্রতি কোনো অবিচার করা না হয়।

আমি এক্ষেত্রে তাঁকে বলেছি-বিষয়টি আমি দেখব যাতে তাদের ব্যাপারে কোনো অবিচার না হয়। আবুল হাসান চৌধুরী সম্ভবত ২/৩ বার আমার সাথে দেখা করেছেন।

তিনি এসএনসি-লাভালিয়নের যাদের নিয়ে আমার সাথে দেখা করেছেন, তাদের দেখলে আমি কাউকে এখন সম্ভবত আইডেনটিফাই করতে পারব না-কে মো. ইসমাইল, কে রমেশ শাহ বা কে জিয়াউল হক।

তবে, আবুল হাসান চৌধুরীর সাথে সম্ভবত ৪/৫ জন লোক এসেছিলেন। আমি আগেই বলেছি-আমি কারো সাথে দেখা করিনি। কেউ দেখা করতে আসলে সেতু বিভাগের সংশ্লিষ্টদের নিয়ে দরদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির সাথে কথা বলেছি।

পত্রিকায় যে নিক্সন চৌধুুরীর নাম এসেছে, সে কখনো পদ্মা সেতুর কোনো বিষয় নিয়ে আমার কাছে আসেনি। তবে, সেতু বিভাগের কোনো কর্মকর্তার কাছে এসেছে কিনা, তা আমার জানা নেই।

এসএনসি-লাভালিনসহ দরপ্রস্তাবে অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতেই আমার সাথে সাক্ষাৎ করা হয়েছে। এরূপ সাক্ষাতে এসএনসি-লাভালিন পৃথক কোন গুরুত্ব পায়নি। আইনের বাইরে, যোগ্যতা যাচাইয়ে মেরিট অনুযায়ী, যে যেখানে এসেছে-সে অনুযায়ী অনুমোদনের জন্য বিশ্বব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।

বিশ্বব্যাংক মূল্যায়নে কোনো অসংগতি, আইনের ব্যত্যয় কিংবা অবৈধতার কোনো গন্ধ পেলে তা ক্লারিফিকেশন নিতে সেতু বিভাগে ফেরত পাঠাতে পারত, বা অনুমোদন না নিতে পারত। এক্ষেত্রে সেতু বিভাগ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে কোনপ্রকার সন্দেহ করার সুযোগ নেই। কারণ, বিশ্বব্যাংক ও আমাদের লক্ষ্য স্বচ্ছতা, সততা ও জাবাবদিহিতা।

এসএনসি-লাভালিনের বিষয়ে আমার পারিবারিক কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই, সংশ্লিষ্টতা ছিল না। আমার পরিবারের কোনো সদস্য বা কোনো আত্মীয় বা কোনো প্রতিনিধি কাউকে ব্লাকমেইল করে অর্থ চায়নি, চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।

আপনি জানেন, আমি, আমার দু’মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়েই আমার পরিবার। পৃথিবীতে এমন কোনো ব্যক্তি নেই, যে সাক্ষি দেবে আমি কারো কাছে টাকা চেয়েছি। এবং হকহালাল পথ ছাড়া অন্য কোনোভাবে অর্থ উপার্জন করেছি। সততা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, ইন্টিগ্রিটি, বিনয় এবং ভদ্রতা আমার শক্তি, আমার অহংকার, আমার অঙ্গীকার।

আমি পরামর্শ নিয়োগে যে অনুমোদন প্রক্রিয়া বিশ্বব্যাংকে অগ্রায়ণ করেছি, তা সেতু বিভাগে ডকুমেন্টেড হয়ে আছে। আমি দফতর পরিবর্তনের সময় সেসব ডকুমেন্ট নিয়ে আসেনি। এখনও তা সেখানে সংরক্ষিত আছে।

আমি একথা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময় আমি কোনো অনিয়ম করিনি। কোনো অন্যায় ও মিথ্যার কাছে আত্মসমর্পণ করিনি। কারো দ্বারা প্রভাবিত হইনি। কোনো দরদাতাকে, বিশেষ করে, দরদাতা প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনকে কোনোপ্রকার সুবিধা দেয়ার জন্য কাউকে কোনো সুপারিশ বা চাপ প্রয়োগ করিনি।

শ্রদ্ধেয় চেয়ারম্যান, সাকো ইন্টারন্যাশনাল লি. একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৫ থেকে অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও সততা রক্ষার মাধ্যমে কাজ করে ইন্টারন্যাশনাল লি. দেশবিদেশে সুনাম অর্জন করেছে। আমি এ প্রতিষ্ঠানের পূর্বতন ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

তবে মন্ত্রিত্ব গ্রহণের আগেই আমি নিজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা রক্ষায় সাকো থেকে পদত্যাগ করি। (পদত্যাগপত্র সংযুক্ত-১)। এবং সাকো কর্তৃপক্ষকে আমার মন্ত্রণালয়ে কাজ/ টেন্ডারে অংশগ্রহণ না-করা এবং তাদের ব্যবসায়ে আমার নাম ব্যবহার না। করার অনুরোধ জানাই।

আমার ০৫.০১.২০০৯ খ্রি. তারিখের পদত্যাগপত্রে তা উল্লেখ আছে। আমার জানামতে, সাকো ইন্টারন্যাশনাল লি. যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কোনো টেন্ডারে প্রত্যক্ষ বা পারোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেনি।

আমি জীবনে বহুদেশ ভ্রমণ করেছি। কিন্ত কানাডায় আজপর্যন্ত আমি ভ্রমণ করিনি। আমি কখনো কানাডায় যাইনি। এবার মন্ত্রী হিসেবে আমি ৬ জানুয়ারি ২০০৯ সালে শপথ নিই। ২৫ মার্চ ২০০৯ তারিখে পাসপোর্ট গ্রহণ করি।

পাসপোর্ট গ্রহণের পর আমি বিভিন্ন দেশ সফর করেছি। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে আর কানাডায় যাওয়া হয়ে ওঠেনি। তবে আমার এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে কানাডায় ভিসা লাগিয়েছিলাম, কিন্তু শেষাবধি যাওয়া হয়নি। এবার মন্ত্রী হওয়ার পর ভ্রমণসংক্রান্ত বিষয় অবলোকনের জন্য আমার পাসপোর্টের ফটোকপি সংযুক্ত করা গেল (সংযুক্ত-২)।

শ্রদ্ধেয় চেয়ারম্যান, পদ্মা সেতু বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। তাই আমি চেয়েছি স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সাথে এই সেতুর কার্যক্রমকে বাধাহীনভাবে এগিয়ে নিতে। আমি প্রতিমুহূর্ত, প্রতিক্ষণকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।

কিন্তু কতিপয় স্বার্থান্বেষী ব্যক্তির কারসাজিতে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে দেখা তাদের অসত্য ও বেনামি চিঠির কারণে এবং অভিযোগকারীদের এসব কাল্পনিক অভিযোগ প্রমাণ হিসেবে, ডকুমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করে বিশ্বব্যাংক ‘সম্ভাব্য দুর্নীতির আশঙ্কা’ প্রকাশ করেছে এবং এই সম্ভাব্য দুর্নীতির আশঙ্কার ভিত্তিতে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থার কারণে আজকের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগকারীদের এসব কাল্পনিক অভিযোগের ভিত্তিতে মিডিয়াও নেতিবাচক রিপোর্ট করেছে। এর ফলে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন কাজ তিন বছর পিছিয়ে গেছে এবং মন্ত্রী হিসেবে কোনো ধরনের অন্যায়-অনিয়ম না করেও আমার মর্যাদা ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।

কতিপয় মিডিয়ার অসত্য খবর প্রকাশ, বিশেষ করে, ‘প্রথম আলো’ যে পরিকল্পিতভাবে অসত্য ও মনগড়া রিপোর্ট প্রকাশ করে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে এবং আমাকে জড়িয়ে পদ্মা সেতুকে বিতর্কিত করে তুলেছে-এ বিষয় আলোকপাত করে আমি প্রথম আলোর সম্পাদক জনাব মতিউর রহমানকে একটি চিঠি দিয়েছি।

তাঁকে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছি। নতুবা আমি আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব তাও তাঁকে জানিয়েছি। চিঠিটি আপনার সদয় অবলোকনের জন্য সংযুক্ত করা গেল (সংযুক্তি-৩)

শ্রদ্ধেয় চেয়ারম্যান, পদ্মা সেতু নির্মাণের তদারকি পরামর্শক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে দুদক-এর কাছে প্রেরিত বিশ্বব্যাংকের চিঠির বরাত দিয়ে পত্রিকায় পার্সেন্টেজ বিষয়টি বিশ্বব্যাংকের চিঠিতে উল্লেখ আছে কিনা জানি না, এটা পত্রিকার/মিডিয়ার মনগড়া লেখা কিনা তাও আমি জানি না, তবে এতটুকু বলব, যা আমি আগেও বলেছি, কোন ধরনের অনৈতিক কাজের সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

আমি কখনো, কারো কাছ থেকে নিজে বা কারো মাধ্যমে এ-ধরনের অ্যাপ্রোচ করিনি বা কথা বলিনি। বলার প্রশ্নই আসে না। জীবনের প্রথম থেকে এসব অনৈতিকতা, আমার স্বভাববিরুদ্ধ বিষয়। আমি সততায় বিশ্বাসী। আমি কাজে বিশ্বাসী। কাজ দ্রুত বাস্তবয়ানে আগ্রহী।

পদ্মা সেতুর প্রতিটি কাজ সততা, দক্ষতা ও দ্রুততার সাথে করা হয়েছে। পরামর্শক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে কমিটি মূল্যায়ন করেছে, সেই কমিটির সম্মানিত বিশেষজ্ঞদের কেউ বলতে পারবেন না যে আমি কাউকে কোনো বিষয়ে অনুরোধ করেছি, তাদের কোনোভাবে প্রভাবিত করেছি, কোনো কাজ আমার অনুরোধ অনুযায়ী তাদের করতে বলেছি।

আমি মনে করি, মূল্যায়ন কমিটির জ্ঞানী, নির্লোভ, নিরপেক্ষ এবং সৎ সদস্যবর্গ দরপত্র মূল্যায়ন প্রতিবেদন সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার সাথে সম্পাদন করেছেন।

গভীর শ্রদ্ধান্তে,
একান্তা ভাবে আপনার,
সৈয়দ আবুল হোসেন, এমপি
মন্ত্রী

আরো পড়ুন

Comments to: গোলাম রহমানের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    Attach images - Only PNG, JPG, JPEG and GIF are supported.

    Login

    Welcome to Chithipotro

    You are couple of steps away from being one of our family member
    Join Us