সৈয়দ আবুল হোসেন, এমপি
মন্ত্রী
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
তারিখ: ২৫ জুন ২০১২

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক
বিশিষ্ট আইনজীবী
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
ঢাকা।

শ্রদ্ধেয় মহোদয়,
আসসালামু আলাইকুম।
আপনি দেশের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। দক্ষ ও দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আইনজীবী। দেশের সিনিয়র সিটিজেন এবং দেশের একজন অভিভাবক। দেশের মানুষ আপনার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে এবং তাতে প্রভাবিত হয়।

আমিও পত্রিকায় আপনার বক্তব্য পড়ি এবং টকশো’র আলোচনা দেখি, শুনি। সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে প্রভাবিত হই, উদ্বুদ্ধ হই দেশের মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে।

কিন্তু আজকের (২৫ জুন, ২০১২) আমাদের সময়-এ আমার সম্পর্কে আপনার একটি কমেন্ট দেখে ব্যথিত হয়েছি। বুঝতে পেরেছি, পদ্মা সেতু নিয়ে, আমাকে জড়িয়ে পত্রপত্রিকায় যেসব অসত্য, মনগড়া লেখা প্রকাশিত হয়েছে তার দ্বারা আপনি প্রভাবিত হয়েছেন।

পত্রিকা ক্রমাগতভাবে, বিশেষ করে, প্রথম আলো অসত্য খবরের ভিত্তিতে আমার সম্পর্কে নেতিবাচক লেখা, ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছে। প্রথম আলোর এই অসত্য খবরের প্রতিবাদ করে আমি প্রথমআলো সম্পাদক জনাব মতিউর রহমানকে একটি চিঠি দিয়েছি (কপি সংযুক্ত)।

তিনি সংশোধনমূলক ব্যবস্থা না নিলে আমি মামলা করতে বাধ্য হব। আপনি যদি মতিউর রহমান-এর কাছে আমার লেখা চিঠিটি পড়েন, তাহলে বুঝতে পরবেন আমি এক বিরাট ষড়যন্ত্রের শিকার। দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, অসত্য ও মিথ্যা সংবাদের কারসাজির শিকার।

আমি একজন সৎ ও স্বচ্ছ, সাধারণ মানুষ। আমি নির্দোষ মানুষ। আমি জেনে-শুনে আমার দায়িত্ব পালনে কোনো অন্যায়, কোনো অনিয়ম করিনি।

শ্রদ্ধেয় মহোদয়, আপনি আমাকে চিনেন, জানেন। ১/১১-এর সময় আপনি আমাকে সাহায্য করেছেন। আমার সততা, আপনার প্রচেষ্টা আমাকে ১/১১-এর দানবদের কাছ থেকে রক্ষা করেছে।

যে কয়েকজন ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব স্বচ্ছভাবে দুদকের কার্যক্রম থেকে, হাসান মশহুদ চৌধুরীর রোষানল থেকে, তদন্তে রেহাই পেয়েছেন-আমি তাদের মধ্যে অন্যতম। ১/১১ সময়ে আমি একমাত্র ব্যক্তি যে দুদকের তদন্তে FRT পেয়েছি। সরকারে এসে রাজনৈতিকভাবে আমার মামলা তুলতে হয়নি।

শ্রদ্ধেয় মহোদয়, প্রথম আলো আমার বিরুদ্ধে ইচ্ছেকৃতভাবে, কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, পরিকল্পিতভাবে অসত্য কথা লিখে, রিপোর্ট করে আমার সামাজিক মর্যাদা, ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি-প্রথম আলো যদি চিঠির পরে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমি মামলা করব।

এ বিষয়ে আমি আমার ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টায় আপনার সহযোগিতা চাই। আমি চাই, আপনি আমার এ সংক্রান্ত মামলা পরিচালনা করুন।

আমি যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ডিসেম্বর ২০১১ পর্যন্ত প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করেছি। এই তিন বছরের কার্যক্রম নিয়ে ‘সাফল্যের ধারাবাহিকতায়-যোগাযোগ খাত’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে।

এই বইয়ে যোগাযোগ খাতের (সড়ক খাত, সেতু বিভাগ, বিআরটিএ বিআরটিসি ডিটিসিবি এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে) গৃহীত কার্যক্রম, বাস্তবায়িত কার্যক্রম ও বাস্তবায়নাধীন কার্যক্রমের একটি চিত্র পাওয়া যাবে।

বইটি বর্তমান সরকারের যোগাযোগ খাতের তিন বছরের কার্যক্রমের একটি নিখুঁত দলিল। বইটি নভেম্বর ২০১১-এ প্রকাশ করা হলেও আমার দফতর পরিবর্তনের পর তা বিতরণ করা হয়নি। একটি বই আপনার জন্য পাঠালাম।

শ্রদ্ধেয় মহোদয়, আমার এ লেখা এবং প্রথম আলো’র সম্পাদক জনাব মতিউর রহমানের কাছে লেখা আমার চিঠিটি আপনাকে পাঠালাম-আমার সম্পর্কে সত্য ঘটনা জানানোর জন্য। হয়তো এ ব্যাপারে আপনি ইতিবাচক কোনো অনুঘটকের ভূমিকা পালন করতে পারবেন।

আশা করি, আপনি সার্বিক বিষয় উপলব্ধি করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। ১/১১-এর সময় আপনি যেভাবে আমাকে সহযোগিতা করেছেন, আশা করি, এ সময়ে অনুরূপ সহযোগিতা আপনার কাছ থেকে পাব। এ ব্যাপারে আপনার সহযোগিতা কামনা করি।

গভীর শ্রদ্ধান্তে,
একান্তভাবে আপনার,
সৈয়দ আবুল হোসেন, এমপি
মন্ত্রী

আরো পড়ুন

Comments to: ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের কাছে সৈয়দ আবুল হোসেনের চিঠি

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    Attach images - Only PNG, JPG, JPEG and GIF are supported.

    Login

    Welcome to Chithipotro

    You are couple of steps away from being one of our family member
    Join Us