আশ্বিন ২৮, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
প্রিয় বিশেষ
শারদীয় সন্ধ্যা, বেলকনির গ্রিলের ফাঁকে পাশ্চিম আকাশে বাঁকা চাঁদ হাসে। তুমি হাসলেও ঠিক এরকম অপার্থিব সৌন্দর্য এসে ভীড় করে তোমাতে। আমি ভাবতে বসি প্রতি শরতে তোমায় চিঠি লিখার কঠিনতম পণ করেছিলাম।
কিন্তু একটি ভগ্ন হৃদয় আর বিপর্যস্ত মস্তিষ্ক থেকে তোমাকে সম্বোধন করার মতোন কোনো শব্দ বের হয় না। আজকাল শরতের দিনরাত্রি আমার ভালো লাগে না। প্রিয় শরতও ঠিক তোমার দূরত্বটা ঘুচিয়ে উঠতে পারে না।
দুপুরের শেষ সময়টায় যখন শরতের স্নিগ্ধ হাওয়ার স্পর্শ গায়ে এসে লাগে তখন আমার সবকিছু তুচ্ছ মনে হয়। মায়ের আদর কিংবা তোমাকে ভালোবাসার মতোন সুন্দর অনুভূতিগুলো কেমন অবহেলায় দূরে ঠেলে দিতে ইচ্ছে করে। আমার তখন কেবলই মৃত্যুকে ছুঁয়ে দেয়ার সাধ জাগে।
জানো শ্রদ্ধা তোমাকে এই শরতে উপযুক্ত কোনো শব্দমালায় সাজাতে পারি না বলে মস্তিষ্ক জুড়ে ঝড় বইয়ে যায়। শরতের অগণিত রাত আমি জেগে রই। কুয়াশাজড়ানো অন্ধকারে তোমায় খুঁজি। তোমায় খুঁজতে গিয়ে অন্ধকারে রোজ হারাই। অথচ তোমাকে কখনো বলা হয় না তা।
তুমি বরাবরই গন্তব্যহীন, উদ্দেশ্যহীন আত্মসন্ধ্যানী। তোমার চিন্তার প্রখরতা শরতের স্বচ্ছতার মতোন। তুমি শ্রেষ্ঠ। আমার পড়া শ্রেষ্ঠ কবিতার কবি। আমার পড়া শ্রেষ্ঠ গল্পের লেখক। আমি আমার ২২ তম শরতের প্রতিটি দিন, প্রতিটি রাত তোমায় দিলাম।
প্রতি বছর শরত এসে তোমায় করবে উন্নত, আরও উন্নত। আর শরতের শুদ্ধ অনলে পুড়ে ছাই হয়ে আমি হব পরিশুদ্ধ। আর পবিত্র সেই ছাঁই দিয়ে তোমার কপালে পড়িয়ে দিব শ্রেষ্ঠত্বের জয় তিলক।
ইতি
ম্রিয়মাণ চন্দ্রপ্রভা।
লিখেছেন: ফাতেমা মাহজাবিন
No Comments
Leave a comment Cancel