প্রিয় আরিখা,
আমি ইউসুফ বিন আহমদ বলছি মনের কান দিয়ে কথা গুলো একটু শুনো, হয়তো বুঝতে না পারলেও অন্তত অনুভব করতে পারবে, চিঠিতে আপনাকে তুমি বলেই সম্বােধন করবাে।
কারণ যখন আমার কাছের মানুষটিকে কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ হারিয়ে ফেলি ঠিক তখনই তুমি আমার দুয়ারে টোকা দাও।
চিনি না জানি না চিন্তা করতে শুরু করলাম এই পৃথিবীতে যখন আসি ঠিক তখনই তো কাউকে চিনতাম না।
সময়ের সাথে সাথে সবাই আজ কত পরিচিত কাছের মানুষ ঠিক তেমনই না হয় তোমাকে ও সময়ের সাথে হঠাৎ কোনো একদিন চিনে নিবো।
কি অদ্ভুত তাইনা মাঝে মাঝে কথা হয় এরপরেও কেনো যেনো তোমার মায়া আমাকে বারবার তোমার কথা সরন করিয়ে দেয়।
আসলে জেনারেল লাইনের সবাইর থেকে একটু অন্য রকম যা আমাকে আরো বেশি তোমার প্রতি মুগ্ধ করেছে। তােমাকে নিজের অজান্তেই কতটা ভালােবাসি তা নিশ্চয় এতােদিনে অনুভব
করতে পেরেছাে কিনা তা জানিনা।
কিন্তু তাতে কি তােমাকে আমার জীবন সঙ্গী হিসেবে দাবি করবাে সেই অধিকারটা তাে নেই।
সেই সুযােগটাও নেই। যদি এই দাবিটা করি তাহলে আমাদের সুন্দর এই অপরিচিত বন্ধুত্বটা নষ্ট হবে যা আমি কখনােই চায় না।
আমি শুধু রােজ তােমার খোঁজটা চায় যা আমাকে একাকিত্ব থেকে একটু স্বস্তি দেয়, আরাে একটা দিন বাঁচে থাকতে ইচ্ছে দেয় তােমার খোঁজ নেওয়ার লােভে।
তাই তােমার কাছে ভালােবাসার না বলা কথাগুলাে তােমাকে না পাঠানাে এই চিঠিতেই জায়গা পাক। তুমি জীবন সঙ্গী হিসেবেও যেমন হবে সেরা, বন্ধু হিসেবেও আরাে সেরা। এক জীবনে সব সেরা হয়তাে পাওয়া হয় না।
তুমি বরং আমার বন্ধু হিসেবেই থেকে যাও প্রিয়। এতােটুকুও যে আমাকে আর একটা নতুন সকাল দেখার আশা জাগায়।
আসলে আগের মতো আর কারো জন্য চিঠি লেখা হয়না, এই চিঠিটা না লিখলে আমার মনের ভাব প্রকাশ পায়না এজন্য লিখেই ফেললাম ভুল হলে ক্ষমা করো, তােমাকে ভালােবাসি অপ্রকাশিত
কথাটা এই চিঠিতেই প্রকাশ পাক।
তুমি ভালাে থেকো। আর নিজের খেয়াল রেখো।
ইতি
হঠাৎ পরিচিত সেই মানুষটা
লিখেছেন: ইউসুফ বিন আহমেদ
No Comments
Leave a comment Cancel