আশ্বিন ৩১, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ।
“শ্রদ্ধা”,
তোমার দেওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার আমার ২০ তম শরতের প্রতিটি দিন। আমার একপাক্ষিক অভিমানের পাহাড় ডিঙিয়ে কখনো তোমাকে বলা হয়নি শরৎ আমার প্রিয় ঋতু।

স্বচ্ছ নীল আকাশে শুভ্র মেঘের ভেলা যেন তোমার সেই জাদুকরী হাসি, নদীর বুকে পাল তোলা নৌকার উদাস ছুটে চলা আর পানির কলধ্বনি তোমার প্রাণচঞ্চল মনের পরিচায়ক।

কাশবন জুড়ে সাদা ফুলের সমারোহ তোমার আর আমার আত্মিক সম্পর্কের পরিশুদ্ধতার প্রতীক। তোমার সহজ-সরল, সুস্পষ্ট ভাবাবেগ মিশে থাকে শরতের স্নিগ্ধ, ঝলমলে প্রতিটি দিনে।

শারদ প্রভাতের মৃদু কুয়াশা ও শীতল হাওয়ার স্পর্শে অনুভূত হয় সুদূর শীতের আগমনী বার্তা আর সে বার্তার খামে অলিখিত নিমন্ত্রণ থাকে তোমার সাথে মাত্র একবার দেখা হওয়ার।

শরতের শুক্লপক্ষ, পূর্ণিমা, কৃষ্ণপক্ষ, অমাবস্যার রাতে ধূসর আকাশের বুকে রূপালী রঙের মেঘেদের গন্তব্যহীন নিরন্তর ছুটে চলার সাথী হয়ে আমিও ছুটে যাই তোমার দুয়ারে যেখানে বসে তুমি প্রেমিক পুরুষের মতো সারারাত জেগে লিখতে থাকো।

আর আমি বাহিরে দাঁড়িয়ে চুপিচুপি দেখি তোমার হাতে জন্ম নেয় আমার পড়া সব শ্রেষ্ঠ কবিতারা।
জানো শ্রদ্ধা, শরতের এক পশলা বৃষ্টিও জানে তোমার আর আমার নামহীন সম্পর্কের ইতিবৃত্ত।

শরতের সৌন্দর্যের রাজ্যে তুমিই আমার চরম পূজনীয়, শ্রদ্ধা। বেঁচে থাকলে শরৎ প্রতি বছর এসে আমাকে করবে পরিণত আর তুমি হবে উন্নত, আরো উন্নত, সবচেয়ে বেশি উন্নত।

ইতি-
তোমার প্রিয় “চন্দ্রপ্রভা”

লিখেছেন: ফাতেমা মেহেজাবিন

Comments to: শ্রদ্ধার কাছে চন্দ্রপ্রভা

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    Attach images - Only PNG, JPG, JPEG and GIF are supported.

    Login

    Welcome to Chithipotro

    You are couple of steps away from being one of our family member
    Join Us