প্রিয় অবেলা,
তোমার ঘোরে আজকাল আমি বড্ড বেখেয়ালি সময় কাটাচ্ছি। তোমার একাকিত্বতায় নিজেকে খুব করে জড়িয়ে নিয়েছি। তোমাকেই বড্ড বেশি ভালোবেসে ফেলেছি।
তুমি হয়ত জানোনা,আমার তুমি টা আমার জীবনে বড্ড অবেলায় এসেছিলো,অবেলায় আমার সাথে স্তব্ধতায় হেসেছিল,একসাথে আমার হাতে হাত রেখে রং তুলিতে সে আমার একটা ছবিও একেছিল, আবার কোন এক অবেলায় সে হারিয়ে ও গেলো।
তুমি জানো অবেলা, আমার প্রিয় টা কত বেখবর ছিল তাঁর নিজের প্রতি? কখন ক্ষুদা লাগতো তাঁর,কখন খেতে হবে তাঁর,কখন স্নান করতে হবে এমনকি কখন তাঁর বিশ্রামের প্রয়োজন সেটাও আমায় বলে দিতে হতো। কি তোমার বিশ্বাস হচ্ছে নাতো!?
আচ্ছা শোনো তবে, একদিন আমার সে আর আমি দুপুরের কড়া রোদ্দুরে মহা সড়কের ব্যস্তময় রাস্তার সাইড ধরে হাটতেছিলাম। সে আমার হাত ধরে আমার দিকে এক মনে তাকিয়ে হাটছিল।
তাঁর মুগ্ধতা ছিল আমার চোখে! আমাকে পেয়ে সে তাঁর নিজ অস্তিত্ব ভুলতে বসেছিল। কিন্তু তাঁকে আগলে রাখার পুরো দায়িত্ব টা আমার উপর দিয়ে দিল আর সে নিল আমার দায়িত্ব।
আমার সে আমাকে বড্ড ভালোবাসতো জানো, ছেড়ে যাওয়ার কথা কখনো মুখেও আনতো না। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিল আমার সাথে আজীবন থাকার। কিন্তু এত সুখ প্রকৃতির ও সহ্য হলো না জানো!
মাস দুয়েক আগে প্রকৃতি তাঁকে আমার থেকে এক রকম ছিনিয়েই ছিল। কিন্তু সে রয়ে গেলো আজ ও আমার অন্তিম যাত্রার সূচনা হয়ে। আজ আর নয়,আমার তাঁকে নিয়ে বাকি কথামালার সূচনা হবে নতুন কোন চিঠিপত্রে!
ইতি :
ছন্দময়ী
লিখা : আয়েশা আক্তার তামান্না
No Comments
Leave a comment Cancel