প্রিয়,
তুমি ছেড়ে যাবে সেতো জানা কথাই ছিল। এটাই যে তোমার স্বভাব। কিন্তু আশ্চর্য কী জানো, ছেড়ে যাওয়ার জন্য তোমার অজুহাতটা! আমাদের জুড়ে থাকাটা ছিল মানসিক একটা সম্পর্ক যেখানে তোমার আমার কোন দায়বদ্ধতা ছিলনা।
আমি তোমায় মাঝরাতে কল দিয়ে বলতাম “আমার না খুব আইসক্রিম খেতে ইচ্ছে করছে” তুমি সবারমতো বলতেনা বিকালেই তো গলায় মাফলার বেঁধে দিলাম বরং বলতে কলেজে আয় কিনে দিবো।
ভীষণ মন খারাপ হলে যখন ফোনের এপাশে বসে কাঁদতাম তুমি সবসময়ই সান্ত্বনা না দিয়ে আমার কান্না শুনতে। প্রচন্ড রাগে যখন জিনিসপত্র ভাঙা ধরতাম তখন জড়িয়ে ধরে বলতে নে আমাকে ভাঙ, আচ্ছা তুমি আমায় তুই করে বলতে কেন?
আমি তোমার থেকে বয়সে অনেক ছোট বলে নাকি আমার মানসিক বয়স শারীরিক বয়স থেকে অনেক কম বলে? তুমি তো জানতে আমি মনে মনে কতটা ছোট মানুষ আর তোমার প্রশ্রয়ে সেটা বহুগুণ বেড়েছে।
তুমি তো আমায় তোমার হাতের তালুর মতো করে চিনতে তাহলে কেন অজুহাতের দরকার পড়লো! একবার শুধু মুক্তি চেয়ে দেখতে আমি তোমাকে হাজার মুক্তি দিতাম।
ভাবতাম তুমি আমার সেই পুরুষই আছো যাকে আমি সবকিছুতে পাগলের মতো চাইতাম। যাকে আমি পৃথিবীতে সেরা পুরুষ ভেবে আমার মন ভালো রাখার দায়িত্ব দিয়েছিলাম।
আচ্ছা, তুমি কি আমার পাগলামি সইতে সইতে (আমার সকল পাগলামি সইবে বলে কথা দেওয়া তুমি) বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলে? এই জন্যই কি অজুহাত এলো আমাদের মাঝে? তোমার কি একবারও মনে হয়নি আমি কি করে ভালো থাকবো!
তুমিই তো আমার আকাশ ছিলে, আছো এখনও। এখন আমি কোন আকাশের দিকে তাকিয়ে নিজেকে শান্ত করবো? মনকে বলবো তোমার আকাশের জন্যই তোমায় ভালো থাকতে হবে বেঁচে থাকতে হবে?
ইতি
“তোমার আমি”
লিখেছেন: তামান্না রিপা
No Comments
Leave a comment Cancel