প্রিয়তমেষু অক্ষর,

কেমন আছো? ভালো তো নিশ্চয়ই? তুমি কি জানো আমি ভালো নেই? চিঠির শুরুতেই তিন তিনটে প্রশ্ন শুনে চোখ লাল করে ধমক দিওনা আবার আমায়! সেদিন কি হয়েছে বলি তোমায়?আমার না খুব ইচ্ছে করছিলো বাসন্তী রঙে সাজতে মনের মাধুরী মিশিয়ে।

শাড়ি, চুড়ি, ঝুমকো, নুপুর নিটোল পায়ে আলতা রাঙিয়ে সেজেছি আমি।ওমা! ভেবেছিলাম তুমি বিকেলে আসবে ঐ মাঠের ধারে। কৃষ্ণচূড়ায় লাল হয়ে যাওয়া গাছের নীচে দাঁড়িয়ে বলেই ফেলবো মনের কথাটা ।সে কি? সেদিন এলে না তুমি।

তারপর ক’দিন হলো দেখা নাই তোমার আশ্চর্য হয়ে ভাবছি শুধু যে মানুষটা একপলক দেখার জন্য এমন করুণ মুখে দাঁড়িয়ে থাকে সে আসে না কেন?এজন্যই আজ লিখতে বসা তোমার নামে চিঠি!

খুব কি অবাক হবে হাতে পেয়ে আমার এ চিঠি? আমি জানি তুমি হবে না অবাক মনে মনে হয়তো চেয়েছো কখনও বিধাতার কাছে যেন আমি লিখি তোমায় মনের দুয়ারের যত কথা জানিয়ে। সত্যি করে বলবে কি অমন চোরা চোখে কেন দেখো তুমি আমায়?

জানি তো এটাও বলবে না। খুব চাপা স্বভাবের যে তুমি! প্রথম যেদিন দেখেছিলাম তোমায়। ঐ তো গান যেদিন গাইলে? নীলসাদা রঙের পাঞ্জাবীতে। আমিও সেদিন ছিলাম নীলাম্বরী সাজে । শুধুই দুজন দুজনকে দেখা।

সারাটা ধূসর বিকেল রঙিন ছিলো তোমার আমার ।মনে আছে তোমার? হাতের ঘড়িতে সময় দেখছিলে কিসের তাড়া ছিল সেদিন? আর একটু সময় কি থাকা যেতো না? যাবার বেলায় আচমকা কপালের টিপটা ঠিক করে দিয়ে বললে “সরি কপালের চাঁদটা সরে গিয়েছিল ঠিক করে দিলাম।

আর হ্যাঁ খোঁপাতে গুঁজে নিতে একগুচ্ছ কাঠগোলাপ ভাল্লাগতো খুব। “আমি স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলাম শুধু। মনে পরে খুব তোমায় তাই লিখে ফেললাম একটা চিঠি। এসো তুমি ঐ কৃষ্ণচূড়ার নীচে দাঁড়িয়ে দুজনেই বলবো মনের যত অব্যক্ত কথা।

হাতে আনতে হবে না একমুঠো লালগোলাপ। আকাশ সমান ঐ মনটা নিয়ে এসো দুহাতে না মনের মাঝে লুকিয়ে? আমি নেবো মনটা পেতেই আমার মনজমিনে। ভালোবাসা নিও।

ইতি
তোমার কথা

লেখা: সাবেরা সুলতানা সুমী

আরো কিছু চিঠি পড়ুন

Comments to: অক্ষরের কাছে কথার চিঠি

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    Attach images - Only PNG, JPG, JPEG and GIF are supported.

    Login

    Welcome to Chithipotro

    You are couple of steps away from being one of our family member
    Join Us